স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের ফেন্সি সম্রাট জোনাব আলীর বাড়ি থেকে ফেনসিডিল খেতে যাওয়া এক আসামিকে মোটরসাইকেলসহ আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর পুলিশের সোর্স সন্দেহে একই পাড়ার আব্দুল মান্নানের ১৩ বছরের কিশোরী কন্যা লাভলীকে বেধড়ক মারপিট করেছে জোনাব আলীর পিতা জামাত আলী। পরে আহত অবস্থায় কিশোরী লাভলীকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ফেন্সি সম্রাট জোনাব আলী ও তার পিতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে লাভলীকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য লোকমোর্চাসহ মানবাধিকার সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেছে লাভলীর স্বজনরা।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের আমতলাপাড়ার জামাত আলীর ছেলে জোনাব আলী (৩০) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবাসহ ফেনসিডিল বিক্রি করে আসছিলো। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফেনসিডিল সেবনকারীরা জোনাব আলীর বাড়িতে যায় ফেনসিডিল খেতে। জোনাব আলীকে এলাকায় সবাই ফেন্সি সম্রাট হিসেবেই চেনে। এক পর্যায়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জীবননগর থানা পুলিশ জোনাব আলীর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০/১২ জন ফেনসিডিল সেবনকারী পালিয়ে গেলেও পুলিশ মোটরসাইকেলসহ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ধোপাখালী গ্রামের ইস্রাইল হোসেনের ছেলে হামেদুল ইসলামকে আটক করে। এ ঘটনার পর রাত ৮টার দিকে পুলিশের সোর্স সন্দেহে একই পাড়ার আব্দুল মান্নানের ১৩ বছরের কিশোরী কন্যা লাভলীকে জোনাব আলীর পিতা জামাত আলী বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরে আহত লাভলীকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর এলাকার অনেকেই মাথাভাঙ্গা প্রধান কার্যালয়ে ফোন করে জানান, ফেন্সি সম্রাট জোনাব আলীর কারণে পাড়াটা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জোনাব আলীর বাড়িতে ইয়াবাসহ ফেনসিডিলের আসর বসে। বিভিন্ন জায়গার লোকজন এসে ফেনসিডিল ও মদ খেয়ে মাতলামি করাসহ পাড়ার মহিলাদেরকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে। কিন্তু জোনাব আলীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেন না। এলাকাবাসী পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ফেন্সি সম্রাট জোনাব আলীর গ্রেফতার করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।