নিহত জঙ্গিদের প্রতি স্বজনদেরও ধিক্কার

 

স্টাফ রিপোর্টার: আমার ছেলে ভালো ছিল, ইচ্ছে ছিল তাকে আলেম বানাব। মানুষের সেবা করবে। মানুষ তার গুণগান গাবে। কিন্তু কিভাবে সে এই পথে আসল তা আমি জানি না। আমি এমন ছেলের মুখও দেখতে চাই না।’ একই সঙ্গে চাপা কষ্ট ও ঘৃণা নিয়ে এভাবেই বলছিলেন সন্তানহারা শয্যাশায়ী মা মোসলেমা বেগম। তিনি রাজধানীর কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গি দিনাজপুরের আব্দুল্লাহ ওরফে মোতালেবের মা।

কল্যাণপুরে অভিযানে নিহত আরেক জঙ্গি রংপুরের রায়হান কবির। সন্তানের জঙ্গি হওয়া ও নিহতের খবর শুনে মা রাহেলা খাতুন কয়েকবার জ্ঞান হারিয়েছেন। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী। গতকাল কাঁদতে কাঁদতে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার খুব শান্ত ছেলেটি জঙ্গি হতে পারে বিশ্বাস করতে পারছি না। অভাবের সংসারে স্থানীয় মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করত। সেই পয়সায় লেখাপড়ার খরচ না জুটলে ঢাকা চলে যায়। এরপর আর যোগাযোগ করেনি।’

সোমবার ভোররাতে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে তাজ মঞ্জিল নামের একটি ভবনের পঞ্চম তলায় পুলিশের সোয়াত টিমের অভিযানে নিহত হয় ৯ জঙ্গি। নিহত ৯ জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো দিনাজপুরের আব্দুল্লাহ (২৩), টাঙ্গাইলের (পটুয়াখালী বলে প্রচারিত) আবু হাকিম নাইম (২৪), ঢাকার ধানমণ্ডির তাজ-উল-হক রাশিক (২৫), ঢাকার গুলশানের আকিফুজ্জামান খান (২৪), ঢাকার বসুন্ধরার সেজাদ রউফ অর্ক (২৪), সাতক্ষীরার মতিউর রহমান (২৪) এবং নোয়াখালীর জোবায়ের হোসেন (২২) এবং রংপুরের পীরগাছার রায়হান কবির (২০)।

গতকাল পরিচয় পাওয়া নিহত জঙ্গিদের বাড়ি গিয়ে তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখন জঙ্গিদের লাশও নিতে চায় না। মা দেখতে চান না সন্তানের মুখ। ভাই চান না লাশ দেশের কোথাও দাফন হোক। প্রচণ্ড ঘৃণা নিয়ে তাঁরা বলছেন, নিহতরা তাঁদের পরিবার ও জাতির সঙ্গে বেইমানি করেছে। অবশ্য পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, বাড়িতে থাকার সময় কেউ এমন ছিল না। কেউ তাদের মগজ ধোলাই করে এ পথে নামিয়েছে। তাদের বিচার হওয়া উচিত। বিস্তারিত আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে-

মোতালেবের মুখ দেখতে চান না মা : কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহ ওরফে মোতালেবের বাড়ি দিনাজপুর নবাবগঞ্জের ভল্লবপুরের গ্রামে। জঙ্গি হওয়া ও নিহতের খবর শোনার পর ছেলের মুখ দেখতে চান না তার মা মোসলেমা বেগম। তার লাশ নিতেও রাজি নন পরিবারের সদস্যরা। এমনকি লাশ দাফনে চেষ্টা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয়রা। গতকাল বৃহস্পতিবার মোতালেবের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে কোনো ভাইও চাইছে না তার মরদেহ এলাকায় দাফন করা হোক। আব্দুল্লাহর মেজ ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পরিবারের ইচ্ছে ছিল আমার ভাই আলেম হবে। আমাদের সম্মান বাড়বে। এ জন্য উচ্চ ডিগ্রি অর্জনের জন্য কষ্টের টাকায় তাকে মাদ্রাসায় পড়ানো হচ্ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। লাশ নিব না। তার কবর আমরা দিব না। এলাকায় কেন দেশের কোথাও যেন তাকে মাটি দেওয়া না হয়। ও পরিবারের সাথে জাতির সাথে বেইমানি করেছে। আমাদের মতো পরিণতি আর কাউকে যেন বহন করতে না হয়।’ প্রতিবেশীরা জানায়, আচার-আচরণ-ব্যবহারে নিরীহ এবং ধার্মিক হিসেবে তাকে চিনত এলাকার মানুষ। কিন্তু তার জঙ্গি হয়ে ওঠার কারণ বোঝা যাচ্ছে না। আব্দুল্লাহর লাশ কবর দেওয়ার চেষ্টা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে এলাকার মানুষ।

জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চল ছেড়ে দিনাজপুরে নবাবগঞ্জে স্থায়ী বাসিন্দা সোহরাব আলীর পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে। তিনি পেশায় ছিলেন নির্মাণ কারিগর। বাপের পেশা বেছে নিয়েছে বড় ছেলে নুরু, মেজ আবুল কালাম। সেজ ছেলে সালাম আসবাবপত্র তৈরির পেশায় নিয়োজিত। স্থানীয় ভল্লবপুর প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা শেষে হাকিমপুরের হিলি মাদ্রাসায় পাঠ চুকিয়ে নওগাঁ জেলার আলাদিপুরের দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসা থেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাজিরবাগ আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে আলিমে পড়ছিল তাঁর চতুর্থ ছেলে আব্দুল্লাহ। এলাকায় মোতালেব নামে পরিচিত সে। মাদ্রাসায় পড়ার সময় পারিবারিক নাম (মোতালেব) পরিবর্তন করে আব্দুল্লাহ নাম বেছে নিয়েছিল সে। কোরবানির ঈদে আবার আসবে বলে মাস কয়েক আগে গ্রামের বাড়ি ঘুরে গেছে আব্দুল্লাহ। সপ্তাহখানেক আগে মোবাইলে ভাইদের সঙ্গে কথাও হয়েছে তার। পঞ্চম ছেলে মোহাম্মদ আলী টাঙ্গাইলের একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে সম্প্রতি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন।

গত বুধবার রাতে আব্দুল্লাহর গ্রামের ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। থানা পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, আব্দুল্লাহ নিখোঁজ ছিল না। বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও তার জঙ্গি হয়ে ওঠার বিষয়টি আঁচ করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। বুধবার রাতে বাড়ি তল্লাশিতে কিছু বই-পুস্তক ছাড়া তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করতে বাবা সোহরাব আলী এবং বড় ভাই নুরুকে হেফাজতে নিয়ে ডিএনএ টেস্টের ম্যাচিংয়ের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

রায়হানের বাড়ি রংপুর: কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গির নাম রায়হান কবির (২০)। সে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারি ইউনিয়নের পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের শাহাজাহান মিয়ার ছেলে। সরেজমিনে গতকাল নিহত জঙ্গি রায়হানের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, একে একে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী গ্রামের কৌতূহলী লোকজন ভিড় করছে তার বাড়িতে। গ্রামবাসী জানায়, রায়হানের বাবা শাহাজাহান মিয়া সহজ-সরল মানুষ। সে কারণে এলাকায় ‘বুদ্ধিহারা’ শাহাজাহান নামে পরিচিত তিনি। ছেলে নিহতের খবর শুনে সকালে কোথায় বেরিয়ে গেছেন দুপুর পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি। অভাবের সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে শাহজাহান মিয়ার। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। বড় ছেলে আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলে একটি টেক্সটাইলে চাকরি করেন। সবার ছোট এই রায়হান।

পারিবারিক সূত্র জানায়, রায়হান কবির বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে দেওয়ান সালেহ আহম্মদ দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে ২০১৩ সালে। এরপর দেউতি স্কুল ও কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক বিভাগে ভর্তি হলেও বেশি দিন ক্লাস করেনি রায়হান। অভাবের সংসারে কিছুদিন বাড়ির ওই মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেছিল সে। প্রায় আড়াই বছর আগে পোশাক কারখানায় কাজ করার কথা বলে ঢাকায় চলে যায় রায়হান। মাঝেমধ্যে বাড়ি আসত এবং যোগাযোগও ছিল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। কিন্তু গত প্রায় এক বছর ধরে তার কোনো খবর জানে না মা-বাবাসহ তার পরিবারের লোকজন। গতকাল তারা রায়হান নিহত হওয়ার খবর জানতে পারেন।

রায়হানের মা রাহেলা খাতুন শরীরে পর পর তিনবার অপারেশন করিয়ে এমনিতে শয্যাশায়ী। ছেলে নিহতের খবর শুনে বেশ কয়েকবার জ্ঞান হারিয়েছিলেন। বিছানায় তাঁর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আড়াই বছর ধরে রায়হান বাড়িতে থাকে না। ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করে। এর আগে মাঝেমধ্যে বাড়ি আসত এবং যোগাযোগ ছিল। প্রায় এক বছর আগে রোজার ঈদে সে শেষবার এসেছিল। এর পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাননি তাঁরা। রায়হান সম্পর্কে তিনি বলেন, খুব শান্ত ছেলেটি জঙ্গি হতে পারে না। এ সময় ছেলের লাশ দাবি করেন তিনি। রায়হানের ভাবি শারমিন বলেন, এক বছর আগে শেষবার ঈদে বাড়িতে এসে রায়হান কিছু টাকা চেয়েছিল। দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সে রাগ করে চলে যায়। সেই থেকে তার সঙ্গে পরিবারের কারো যোগাযোগ ছিল না।

আবু হাকিমের বাড়ি টাঙ্গাইল: রাজধানীর কল্যাণপুরে নিহত ‘জঙ্গি’ আবু হাকিম নাইম কুয়াকাটায় এসে একটি হাউজিং প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করে। কাজের সুবাদে কুয়াকাটার ভোটার হওয়ার পরই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এখান থেকে চলে গিয়েছিল। ২০০৫ সালের দিকে নবদা হাউজিং কম্পানির ‘সাগরনীড়’ নামের একটি প্রকল্পে শ্রমিক হিসেবে ৩০০ টাকা দৈনিক ভাতায় কাজ করত সে। ২০০৭ সালের মাঝামাঝিতে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় তার গ্রামের বাড়ি চলে যায়। তবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন যে আবু হাকিম নাইম পুনরায় কুয়াকাটায় এসে ২০০৮ সালে কুয়াকাটার ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

মহিপুর থানার ওসি মাকসুদুর রহমান জানান, নিহত জঙ্গি আবু হাকিম নাইম কুয়াকাটার যে ঠিকানায় ভোটার হয়েছে, সেই ঠিকানায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে তার ও তার পরিবারের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ২০০৬/২০০৭ সালের দিকে কুয়াকাটার সাগরনীড় হাউজিং নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল। সে সময় এখানকার ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হয় সে। এরপর আর তাকে কুয়াকাটায় কখনো দেখা যায়নি। ওসি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়।

এদিকে নাইমের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামা মহিপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মনির হোসেন জানিয়েছেন, নাইম কুয়াকাটায় আসে ২০০৫ সালে। শ্রমিক হিসেবে সাগরনীড় প্রকল্পে কাজ শুরু করে ২০০৬ সালে। সে পাঁচ-ছয় মাস বর্তমান কুয়াকাটা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কুয়াকাটা গ্রামের আনোয়ার শরীফের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিল। সেখানে তার দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে থাকত। সে নিয়মিত নামাজ আদায় করত বলে জানা গেছে। ২০০৭ সালের শেষের দিকে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে কুয়াকাটা থেকে চলে যায়। এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিহত জঙ্গি আবু হাকিম নাইম কুয়াকাটা পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। ২০০৮ সালের শুরু দিকে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা করা হয়। সে সময় নাইম কুয়াকাটার ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তার ভোটার নম্বর ৭৮১১০৩০০০৩৬৯ এবং আইডি নম্বর ১৯৮৩৭৮১৬৬৪৭৫৯২২৪৩। এনআইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৫ জানুয়ারি ১৯৮৩। ঠিকানায় রয়েছে পূর্ব কুয়াকাটা, ৪ নম্বর ওয়ার্ড অংশ। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি বলে উল্লেখ রয়েছে।

তাজ-উল হক রাশিকের বাসা ধানমণ্ডিতে : তাজ-উল হক রাশিক। তার বাসা ধানমণ্ডির ১১/এ রোডের ৭২ নম্বরে। বাসার নাম ‘ধানমণ্ডি প্রাইড’। তার বাবার নাম  রবিউল হক। জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। গতকাল দুপুরে রাশিকদের বাসায় গেলেও তার পরিবারের সদস্যরা কথা বলতে চায়নি। ওই বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করছেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রায় বছরখানেক ধরে এ বাসায় চাকরি করে আসছি। রাশিকরা তৃতীয় তলায় বি-২ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকেন। রাশিক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) থেকে পাস করেন। তাঁর বড় ভাই তাজ-উল-হক রাজিব স্থপতি প্রকৌশলী।’ তিনি বলেন, ‘দুই ভাই খুবই ভালো ছেলে হিসেবে আমরা চিনি। জানুয়ারি মাস থেকে রাশিক নিখোঁজ হন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। নিখোঁজের পর থেকে রাশিকের মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর বাবা লন্ডনে ব্যবসা করতেন। তাঁরা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। কোনো কিছুরই অভাব নেই। রাশিক জঙ্গি হবেন তা ভাবতেই পারছি না।’ তাঁকে মগজ ধোলাই করে ভুল পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আলমগীর মনে করছেন। ওই অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা এম এ জলিল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুধবার রাতে বাসায় পুলিশ আসার পর বিষয়টি জানতে পারি। পরে তাদের ফ্ল্যাটে যাই। পুলিশকে তথ্য ফরম দেওয়া হয়েছে।’

সেজাত রউফ : গতকালও বিকেলে অর্কদের বসুন্ধরার বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাসার কেয়ারটেকার আশ্রাফ বলেন, ‘স্যার এখনো হাসপাতালে আছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে অর্ক নিখোঁজ হন। এর পর থেকে তৌহিদ স্যার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁর হার্টে দুইবার অপারেশন করা হয়েছে। পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিলেন অর্ক। তিনি আমেরিকার নাগরিক ছিলেন। তাঁর  বড় বোনও আমেরিকায় থাকেন। আরেক বোন বারিধারা এলাকায় থাকেন। অর্ক শান্ত স্বভাবের ছেলে।’ তৌহিদ রউফ মোবাইল ফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখনো আমি নিশ্চিত হতে পারছি না। দেখি কী হয়।’ এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।

জঙ্গি আরিফুজ্জামান খান : পুলিশের গুলিতে নিহত আরেক জঙ্গি আরিফুজ্জামান খান। তার বাবার নাম সাইফুজ্জামান খান। বাসা নম্বর ২৫, রোড নম্বর ১০, গুলশান। আরিফুজ্জামান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিল বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে গুলশান-১ না ২, তা উল্লেখ না থাকায় তার বাসা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Leave a comment