সারাদেশের মতো পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারিতে আলমডাঙ্গার ১৫ পীর-দরবেশ-ফকিরের আস্তানা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: সারাদেশের মতো আলমডাঙ্গার ১৫ পীর-দরবেশ-ফকিরের মাজার-আস্তানায় পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। জানা গেছে, সারাদেশের মসজিদ, মাজার, পর্যটন ও পাহাড়ি এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত জঙ্গিরা এসব স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করেছে বলে তথ্য পাওয়ার পর গত সপ্তাহ থেকে এ নজরদারি জোরদার করা হয়। তারই অংশ হিসেবে আলমডাঙ্গার ১৫ পীর-দরবেশের মাজার-আস্তানায় পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। জঙ্গিদের অবস্থানের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। বড় ধরনের অপারেশনের প্রয়োজন হলে যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে অভিযান হবে। ১৫টি আস্তানা হলো আলমডাঙ্গা শহরের বাবুপাড়ার শাহ মোহাম্মদ পীর সাহেবের মাজার, এরশাদপুরের পান্টুর দরবার শরীফ, এরশাদপুরের খাজা মঈনুদ্দীন চিশতির মাজার, গোবিন্দপুরের ফাদিল শাহ’র আস্তানা, বেলগাছি গ্রামের গঞ্জের আলী শাহ (ইসলাম শাহ)’র আস্তানা, সাহেবপুরের আসান ফকিরের আস্তানা, গাংনীর মমতাজ আলীর আস্তানা, রুইতনপুর মাইজভাণ্ডারীর মাজার, একই গ্রামের লালন ভক্ত লালের আস্তানা, কুলপালা গ্রামের লালন সাঁইজির আস্তানা, জামজামি গ্রামে তক্কেল ফকিরের আস্তানা, একই গ্রামের পুরাতন পাড়ার বাউল ফকিরের আস্তানা, মধুপুরের মোচাই শাহ’র মাজার, বগাদীর ইদ্রিস ফকিরের আস্তানা ও ভালাইপুর হাফিজ উদ্দীনের মাজার। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশসুত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই এ সকল মাজার ও আস্তানা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পুলিশ সংগ্রহ করেছে। একাধিকবার পুলিশ এ সকল মাজার-আস্তানায় সরেজমিনে গিয়েছেনও। চুয়াডাঙ্গা বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,  পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের নির্দেশে তারাও আলমডাঙ্গার ১৫টি মাজার-আস্তানা কড়া নজরদারিতে রেখেছেন।

জঙ্গি প্রতিরোধ টিমের গোয়েন্দা কর্মকর্তাসূত্রে জানা যায়, গত মার্চ মাসে রাজধানীর মিরপুর মাজার থেকে মনির আসলাম নামে এক জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। মনির আসলাম ওয়ার্ল্ড চেইঞ্জ প্রোগ্রাম বাই ট্রুথ অ্যান্ড ডিভাইন ল নামে একটি উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মনির ধর্মীয় উগ্রবাদী মন্তব্য প্রচার করে আসছিলেন। এ কারণে গোয়েন্দারা তাকে খুঁজছিলো। বিষয়টি টের পেয়ে মনির আসলাম মিরপুর মাজারে আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে কাউন্টার টেরোরিজম ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ টিমের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে ওই মাজার থেকে গ্রেফতার করেন।