ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে জয় ভারতের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের করা ৫৬৬ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ফলোঅনে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো কিছু করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে চতুর্থ দিনে ইনিংস ও ৯২ রানের ব্যবধানে হেরে গেল ক্যারিবীয়ানরা। এ টেস্টে জয় নিয়ে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। গত রোববার ১ উইকেটে ২১ রান নিয়ে খেলা শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস পরাজয় এড়াতে প্রয়োজন ছিলো আরও ৩০২ রান। ততোদূর যেতে পারেনি দলটি, অলআউট হয়ে যায় ২৩১ রানেই।

কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নামা স্বাগতিকরা শুরুতেই হারায় অন্যতম ব্যাটিং ভরসা ড্যারেন ব্রাভোকে। উমেশ যাদবের করা দিনের পঞ্চম বলে অজিঙ্কা রাহানেকে ক্যাচ দেন তিনি। টেস্টে খুব বাজে সময় কাটানো মারলন স্যামুয়েলসের সাথে প্রতিরোধ গড়েন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা। এর মাধ্যেই হানা দেয় বৃষ্টি, আগেভাগেই লাঞ্চে যায় দু দল।

প্রথম ইনিংসে ১৭ ওভার বলে করে উইকেটশূন্য থাকা অশ্বিন এ দিন দ্বিতীয় সেশনে স্বাগতিকদের চেপে ধরেন। চার ওভারের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন। ১০৮ বলে ৩১ রান করা চন্দ্রিকা ফিরে যান ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসবন্দি হয়ে। প্রথম ইনিংসের মতো আবারো রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। রানে ফেরার ইঙ্গিত দেয়া স্যামুয়েলসও শিকার অফ স্পিনার অশ্বিনের অসাধারণ এক বলে। ক্যারিয়ার সেরা ৪৫ রান করে চেতেশ্বর পুজারাকে ক্যাচ দেন বিশু। একাদশ ব্যাটসম্যান শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে বোল্ড করেন অশ্বিন। ৮৩ রানে ৭ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার। ৩৩ টেস্টে এনিয়ে ১৭ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তিনি। ফল: ভারত ইনিংস ও ৯২ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: রবিচন্দ্রন অশ্বিন।