কুসংস্কার তাড়াতে খুলতে হবে যুক্তিভরা ঝুড়ির ঝাপি

 

এইতো সেদিনও ওপাড়ার দাদি পাকান ভেঁজে পুতিকে খাওয়ালে রাতে এপাড়ার বাড়ি ফিরতে বাধ সাধতেন। পাকানের গন্ধে পুতির যদি ভুতে ধরে? পুতির পিতা-মাতা জোর জবরদস্তি করতে লাগলে মাথায় দেয়া হতো নুনের ছিটা, হাতে ধরিয়ে দেয়া হতো হলুদের পুটলা।

স্থান, সময় ও ব্যক্তি ভেদে ভুত নিয়ে কতোই না কল্পকাহিনী ছড়ানো হয়েছে। এখন? যে সমাজে কুসংস্কারের অন্ধকার তাড়ানোর মতো সচেতনতার আলো ছড়িয়েছে, সেই সমাজে পাকানো নিয়ে যে যাই বলুক নাতি-পুতিদের অধিকাংশই তা দু’কানে তোলে না। ভয়ও পায় না, ভুতেও আসে না। সে কারণেই বলা হয় ভয়ের নাম ভয়, যতো পাবে ততোই হয়। ভয় পেলেই সুযোগ নেয় মতলববাজ। অন্ধ বিশ্বাস জন্মানোর মতো মনগড়া গল্প প্রচার করে পেতে বসে প্রতারণার ফাঁদ। ওই ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হয়েও পুরোনো কুসংস্কার বা অন্ধবিশ্বাস আকড়ে ধরে কেউ কেউ বলতে থাকেন- বলাতো যায় না, হতেও তো পারে! এতেই প্রতারকচক্র প্রতারণার দোকান স্থায়ীকরণ করার সুযোগ নেই। ওদেরই কেউ কেউ তালগাছের কয়েকটি মাথাকে পুঁজি করে প্রতারণার দোকান পেতে বসে। যেমনটি হয়েছে মেহেরপুর গাংনীর সাহারবাটির মাঠে।

যারা ভ্রান্ত বিশ্বাসে বা ভুল ধারণাকে কাজে লাগিয়ে অর্থবাণিজ্য শুরু করতে চেয়েছে- চায়, তাদের মুখোশ উন্মোচনে অবশ্যই সচেতন যুবসমাজকেই যুক্তির ঝুঁড়ি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। যুক্তভরা ঝুড়ির ঝাপি খুলে ছড়াতে হবে আলো, যে আলো-ই পারে তাড়াতে কুসংস্কার নামক অন্ধকার।