স্টাফ রিপোর্টার: নিখোঁজের ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি কুষ্টিয়া ইবি থানার বলরামপুরের যুবক তৌফিকের। আলমডাঙ্গার জামজামি বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি। গত ১৯ জুলাই দুপুরের পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তবে ওইদিন দুই সন্তানের জনক তৌফিককে রাস্তায় একাধিকবার পায়চারি করার দৃশ্য ধরা পড়েছে মাদরাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে। এদিকে ঘটনার দিন তৌফিককে তার পরকীয়া প্রেমিকা প্রতিবেশী ববিতার সাথে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ববিতাসহ ৩ জনকে থানায় নেয়া হয়। পরে তাদেরকে ছেড়ে দিলেও ববিতার ব্যবহৃত মোবাইলফোন ও সিমকার্ড জব্দ করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ার বলরামপুর গ্রামের মৃত ডোবন মণ্ডলের ছেলে কলাব্যবসায়ী তৌফিক (৩৫) দীর্ঘদিন ছয় দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ১৯ জুলাই থেকে তার সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার তৌফিক নিখোঁজের ঘটনায় ইবি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার স্ত্রী সীমা খাতুন। শুক্রবার বিকেলে একই এলাকার আলোচিত নারী ববিতা খাতুন, স্বামী মহর আলী ও নন্দাই আলমডাঙ্গার বাদেমাজু গ্রামের জলিল খাঁর ছেলে রবজেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইবি থানায় নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে ছেড়ে দিলেও ববিতা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইলফোন ও সিমকার্ড জব্দ করা হয়। এছাড়া তদেরকে পুলিশের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে থানাসূত্রে জানা গেছে।
তৌফিকের স্ত্রী সীমা খাতুন জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইলের দোকানে কাজ আছে বলে বাড়ি থেকে আলমডাঙ্গার জামজামি বাজারের উদ্দেশে বের হয় স্বামী তৌফিক। সন্ধ্যা শেষে রাত হলেও বাড়ি না ফেরাই তৌফিকের মোবাইলফোনে কল দেন তিনি। ওই সময় গ্রামে ফিরেছে এবং রাস্তার ওপরে আছে বলে জানায় সে। মোবাইলফোনে চলন্ত গাড়িতে থাকার শব্দে কিছুটা সন্দেহ করেন সীমা। তবে রাত বাড়ার সাথে সাথে তৌফিকের মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করতে পারেননি স্ত্রী। এখনও পর্যন্ত তার মোবাইলফোন বন্ধ রয়েছে। রাতে প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়িতে গিয়েও স্বামীর খোঁজ পাননি। প্রতিবেশী মহিলার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, তৌফিক প্রতিবেশী গৃহবধূ ববিতার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ৪ বছর ধরে আমার পরিবারের সব সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়েছে ওই নারী।
গত মঙ্গলবার পরকীয়া প্রেমিকা ববিতার জন্যই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে তৌফিক। জামজামি বাজারে এসে একত্র হয় পরকীয়া জুটি। ববিতার অপেক্ষায় তৌফিক রাস্তায় পায়চারি করছিলো বলে ধারণা করেন স্থানীয়রা। পরে ওইদিন তৌফিক ও ববিতাকে একসাথে আলমসাধুযোগে আলমডাঙ্গার দিকে যেতে দেখেছেন বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ববিতা খাতুন জানান, ওই দিন জামজামি বাজার থেকে মেয়ের বই কিনে বাড়ি ফিরে যান বলে দাবি করেন তিনি। তৌফিকের সাথে তার দেখা হয়নি বলেও জানান ববিতা খাতুন।