বিনা বেতনে আর্জেন্টিনার কোচ হতে আগ্রহী ম্যারাডোনা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কোপা আমেরিকার ব্যর্থতার দায় নিয়ে গত মাসে আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন জেরার্ডো মার্টিনো। আপাতত আকাশি-সাদাদের কোচের পদটি শূন্যই আছে। শূন্যস্থানে পূরণে ভীষণ আগ্রহী ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনা কিংবদন্তির আগ্রহ এতোটাই, প্রয়োজনে বিনা পয়সায় জাতীয় দলের কোচ হতে তিনি রাজি!
২০০৮ থেকে ২০১০ দু বছর আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্বে ছিলেন ম্যারাডোনা। কোচ হিসেবে সাফল্যের খাতাটা তার শূন্যই। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে বিরাট স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলো আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ ব্যবধানে হেরে হাওয়ায় মিলিয়ে যায় মেসিদের স্বপ্ন। শেষ হয় কোচ ম্যারাডোনার অধ্যায়ও। এরপর বছর খানেক কোচ ছিলেন দুবাইয়ের আল ওয়াসল ক্লাবের। সেখানেও ব্যর্থতার চক্রে আটকা ছিলেন আর্জেন্টিনা কিংবদন্তি। কোচিং-টোচিং ছেড়ে আপাতত ‘বেকার’ সময় কাটছে ম্যারাডোনার। মার্টিনো চলে যাওয়ার পর আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনও (এএফএফ) খুঁজছে নতুন কোচ। ‘টাটা’র উত্তরসূরি হিসেবে ডিয়েগো সিমিওনের নাম বেশ উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু ম্যারাডোনা মনে করেন, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নেবে না টাকার কারণে, ‘আর্থিক কারণে সিমিওনে চাকরিটা নিতে আগ্রহী নয়। তবে আমার ক্ষেত্রে টাকা কোনো বিষয় নয়। আমি বিনা পয়সায় জাতীয় দলের কোচ হতে পারি। অনেকে অবশ্য ভাবেন, আমি ব্যয়বহুল কোচ। সেটি হলে মরিনহো, আনচেলত্তি কিংবা সিমিওনে কী? এসব কোচের সাথে তুলনা করলে জানি না আমি কীভাবে ব্যয়বহুল কোচ হই। অনেক দিন ধরেই কোচিঙের বাইরে আছেন ম্যারাডোনা। পেশাটা যে তিনি ভীষণ ‘মিস’ করছেন, আর্জেন্টিনা কিংবদন্তির কথায় তা পরিষ্কার, কোচিংটা ভীষণ মিস করতে শুরু করেছি। খেলোয়াড়দের সাথে কাজ করা এবং সাংবাদিকদের সাথে মারামারি করাটাও মিস করছি!