স্বামীসহ শিপরা আটক : ৭৫০ পিস ইয়াবা ৩শ গ্রাম হেরোইন ও টাকা জব্দ

 

চুয়াডাঙ্গার বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ায় মাদকবিক্রেতার বাড়িতে গোয়েন্দা পুলিশের দীর্ঘ তল্লাশি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী শিপরা ও তার স্বামী বাবুলকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বনানীপাড়ায় তার বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি করে ইয়াবা, হেরোইন ও মাদকদ্রব্য বিক্রির টাকা উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যার পর মাদকসম্রাজ্ঞী শিপরা ও তার স্বামী বাবুলকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেয়া হয়। তাদেরকে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার বহুল আলোচিত মাদকসম্রাজ্ঞী শিপরা দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদকব্যবসা চালিয়ে আসছে। অস্ত্র মামলাসহ মাদকদ্রব্য আইনে একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্বামী বাবুলসহ মাদকসম্রাজ্ঞী শিপরা পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাভোগ করেছে অনেকবার। তারপরেও ছাড়া পেয়ে আবার মাদকব্যবসা শুরু করে তারা। বর্তমানে শিপরার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা ও বাবুলের বিরুদ্ধে ২টি মামলার খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বুজরুকগড়ি এলাকায় অভিযান চালান। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ায় মাদকব্যবসায়ী শিপরার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হেরোইন উদ্ধার করা হয়। পরে খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান খাঁন, এসআই আমির আব্বাস, এসআই ইব্রাহীম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। দীর্ঘ সময় ধরে মাদকবিক্রেতা শিপরার বাড়ি তল্লাশি করে ইয়াবা, হেরোইন ও মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির বিভিন্ন স্থান তল্লাশি করে ৭৫০ পিস ইয়াবা, ৩শ গ্রাম হেরোইন ও মাদকদ্রব্য বিক্রির ২৫ হাজার ৮৬৬ টাকা উদ্ধার করে তারা। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) ছুফি উল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। একইসাথে মাদকসম্রাজ্ঞী শিপরা ও তার স্বামী বাবুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়।

গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, মাদকবিক্রেতা শিপরা ও তার স্বামী বাবুলকে আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমির আব্বাস বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন। এছাড়া এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে প্রত্যেক এলাকায় মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে।

Leave a comment