কুষ্টিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে হোস্টেল সুপারসহ আটক ৯ : জিহাদী বই উদ্ধার

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটসের ছাত্রাবাসে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় ম্যাটসের হোস্টেল থেকে পুলিশ একজন হোস্টেল সুপারসহ ৯ জনকে করেছে। গতকাল  মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) জয়নুল আবেদিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

কুষ্টিয়া সহকারী পুলিশ সুপার নুর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, অভিযানে আটকৃতরা হলো- পাবনার সাথিয়া উপজেলার সোনাতোলা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে ও কুষ্টিয়া ম্যার্টসের শিক্ষক ও হোস্টেল সুপার ডা. মোহাম্মদ আলম হোসেন (৪৫), নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল করিম (২১), সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার প্রতাপুর গ্রামের কাজী ফয়সালের ছেলে কাজী ফয়েজ আহম্মেদ সৌরভ (২২), রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ইবরাহিম আলী (১৯), নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নলুয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ (২০), একই জেলার হাতিয়া উপজেলার কালিরচর গ্রামের শহিদুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২১), ফেনীর ফুলবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ ধর্মপুর গ্রামের আবুল তাহেদের ছেলে আব্দুল হান্নান (২১), সিরাগঞ্জের একডালা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (২১) ও মেহেরপুরের মজিবনগর উপজেলা মহাজনপুর গ্রামের সাইফুলের ছেলে আহসান হাবীব সজল (২২)।

তিনি আরও জানান, এ সময় পুলিশ হোস্টেল সার্চ করে জিহাদী বই পত্র ও শিবিরের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের কাগজ পত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত বইয়ের মধ্যে বেশ কিছু জিহাদী বই ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের মাসিক রিপোর্ট, চাঁদা আদায়ের রশিদসহ সাংগঠনিক কার্যক্রমের কাগজপত্র রয়েছে।

তিনি আরও জানান, তবে জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে কুষ্টিয়া পুলিশের আতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদিন ফোন করে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান। তবে তিনি কেন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে তা জানেন না। তবে অভিযানের ব্যাপারে পুলিশ সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলেনি।