গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেই বাংলাদেশ-ভারতের আসামি হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার: কারো বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে বিচারের জন্য কোনো প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যে আসামি বিনিময় (বহিঃসমর্পণ) করতে পারবে। ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন বা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিনিময়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বহিঃসমর্পণ চুক্তির একটি ধারা সংশোধন করে ওই সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানিয়ে বলেন, ভারতের সাথে বহিঃসমর্পণ (বন্দি বিনিময়) চুক্তিটি হয় ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি। ওই বছরের ৭ অক্টোবর এই চুক্তিতে অনুসমর্থন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। ভারত সরকার চুক্তির ১০ এর ৩ অনুচ্ছেদটি সংশোধনের প্রস্তাব করেছে। এ অনুচ্ছেদটি জটিল ছিলো জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভারত সরকার এটি সহজীকরণের প্রস্তাব করেছে। সংশোধন করার পর আমাদের দেশের কোনো জাজ (বিচারক), ম্যাজিস্ট্রেট, ট্রাইব্যুনাল বা এ ধরনের কোনো অথরিটি যদি অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে থাকে, সে যদি ভারতে থাকে, তবে আমরা তার জন্য বহিঃসমর্পণের সুপারিশ করতে পারবো। একইভাবে বাংলাদেশের কেউ ভারতে আছে, কিন্তু বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়ে গেছে, ট্রায়াল করার জন্য ভারত সরকার তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে। অনুরূপভাবে ভারত সরকার যদি ওয়ারেন্ট থাকা কাউকে চায় আমরা তাকে হ্যান্ডওভার করে দেবো। আগের জটিল পদ্ধতিটি সহজীকরণ করা হয়েছে।

শফিউল আলম বলেন, আগে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও এর সাথে বিচারের সম্মুখিন করার জন্য এভিডেন্স (প্রমাণ) দিতে হতো। যে দেশ আসামি চাইতো তাদেরই এটা (বিচারের জন্য প্রমাণ) দিতে হতো, অনুরোধকারী  দেশের জন্য এ বাধ্যবাধকতা ছিলো। তিনি বলেন, এখন যদি কেউ ভারতে থাকে তবে বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট (গ্রেফতারি পরোয়ানা) জারি হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার যদি বলে বিচারের জন্য আমরা তাকে চাই, তবে ভারত সরকার তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে। একইভাবে ভারতে ওয়ারেন্ট জারি হওয়া কাউকে আমাদের কাছে চায় তবে আমরাও তাকে হস্তান্তর করবো। আর কোনো এভিডেন্স দেখাতে হবে না।