আদালত অবমাননার কারণে সদর থানার ওসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আদালত অবমাননার কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ এবং মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল-১’র বিজ্ঞ বিচারক শিরীন কবিতা আখতার। গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

আদালতসূত্রে জানা যায়, ফৌজদারি বিবিধ পিটিশন- ৮৮/২০১৬ মামলার বাদী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে রাজীব মিয়াকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির চাকরি দেয়ার প্রলোভনে মালয়েশিয়া নিয়ে যান একই গ্রামের জহুরুল ইসলাম। এর বিনিময়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়ার পর গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাজীব মিয়াকে ঢাকায় নিয়ে ৩ মাসের ভ্রমণ ভিসা দিয়ে মানবপাচারকারীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। রাজীবের খোঁজ জানতে গেলে জহুরুল ইসলাম আবারও ২ লাখ টাকা দাবি করে। এখন পর্যন্ত রাজীব নিখোঁজ রয়েছে। গত ১০ এপ্রিল ২০১৬ চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া স্কুলপাড়ার মৃত মঙ্গল মণ্ডলের ছেলে জহুরুল ইসলাম, ছেলে সামাদ আলী, মেয়ে নার্গিস বেগম, স্ত্রী সিপরান খাতুনের নামে মামলা করতে চাইলে মামলা নেয়নি সদর থানা পুলিশ।

মামলার বাদী আব্দুল কাদের চুয়াডাঙ্গা মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল-১ আদালতে মামলা করলে ওই মামলাটি সদর থানায় নথিভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। আদালতের আদেশ অবমাননা করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক নথিভুক্ত করেননি। এ ব্যাপারে আদালত কারণ দর্শানোর জন্য আদেশ দিলে তাও তিনি মানেননি। এরই কারণে সদর থানার ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানকে নির্দেশ দেন আদালত।

উল্লেখ্য, আব্দুল কাদের বাদী হয়ে মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইনে ২০১২’র ৬/৭/৮/৯/১০ ধারায় মামলা করেন।