ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা। দীর্ঘ ছুটি শেষে রোববার ক্যাম্পাসে এসে কক্ষে প্রবেশ করতে যেয়ে তারা এ ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে। ছাত্রীদের ভাষ্যমতে প্রায় ১২টি কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির ঘটনা তদন্তে আবাসিক শিক্ষক হামিদা খাতুনকে (তমা) আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে রহস্য জনক এ চুরির সাথে হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত রয়েছে।
হলের আবাসিক ছাত্রী ও শিক্ষকদের ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পুরাতন এবং নতুন ব্লক মিলে ১২টি কক্ষে চুরি হয়েছে। ওই হলের পুরাতন ব্লকের ২০৩, ২০৪,২০৭, ৪০৫, ৪০৭ এবং নতুন ব্লকের ২১১, ২১২, ৫০৪, ৫০৯, ৫১০ ও ৫১২ নং কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটে। পবিত্র রমজানের দীর্ঘ ৪৮ দিনের ছুটি শেষে রোববার আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়া হয়।
হলের আবাসিক ছাত্রীরা জানায়, হলে প্রবেশ করে তারা দেখতে পায় তাদের আসবাবপত্র এবং পোশাক কক্ষের মেঝেতে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি সাথে সাথে হল কর্তৃপক্ষকে অবগতি করানো হলে প্রভোস্টসহ আবাসিক শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট কক্ষ পর্যবেক্ষণ করেন। ছাত্রীদের অভিযোগ আসবাবপত্র ছাড়াও তাদের অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। এদিকে এ ঘটনার পরে চুরি হওয়া কক্ষে ছাত্রীদেরকে তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে ওই হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রুমে ঢুকে দেখি জিনিসপত্র সব এলোমেলো অবস্থায় রাখা হয়েছে। তার কম্বল এবং ওভেন চুরি হয়ে গেছে। তবে ওই হলের আবাসিক শিক্ষক প্রদীপ কুমার অধিকারি চুরি হয়েছে বিষয়টি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সরেজমিনে গিয়েছিলাম সেখানে ৮টি কক্ষের আসবাবপত্র ছড়ানো ছিটানো দেখতে পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে মেয়েদের ব্যক্তি রেষারেষিতে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ২০৭ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্রী তাহরিমা আক্তার শাপলা বলেন, কক্ষে প্রবেশ করেত যেয়ে ভয় পেয়েছি। ঢুকেই সবকিছু ছড়ানো ছিটানো পেয়েছি। লকারে রাখা পোশাক এবং বিছানা মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। ওই ছাত্রী আরও জানান অন্য ছুটিতে রুমের তালায় সিলগালা করা হলেও এবার সেটি করা হয়নি। এদিকে এ ঘটনা তদন্তে ওই হলের আবাসিক শিক্ষক হামিদা খাতুনকে (তমা) আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. অশোক কুমার চক্রবর্তি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ড.হাফিজুর রহমান, প্রধীপ কুমার অধিকারি, পার্থ সারথি লস্কর ও তিয়াশা চাকমা। আবাসিক হলের কক্ষে সিলগালার বিষয়টি জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অশোক কুমার চক্রবর্তী বলেন, প্রতিটি তালায় সিলগালা করা হয় এটা আমার জানাছিলো না। তবে কলাপসিবল গেটের তালায় সিলগালা করা হয়েছিলো।