দামুড়হুদার চিৎলায় বসতঘরের গ্রিলে হাত ঠেকে বিপত্তি : বিদ্যুতস্পৃষ্টে পোল্ট্রি খামার মৃত্যু

দামুড়হুদার চিৎলায় বসতঘরের গ্রিলে হাত ঠেকে বিপত্তি : বিদ্যুতস্পৃষ্টে পোল্ট্রি খামারি মোয়াজ্জেম নিহত

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় নিজ বসতঘরের দরজা খোলার সময় বারান্দার গ্রিলে হাত ঠেকে বিদ্যুতস্পৃষ্টে মোয়াজ্জেম হোসেন মল্লিক (৫০) নামের এক পোল্ট্রি খামারির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের চিৎলা হাসপাতাল পাড়ার মৃত আরমান মল্লিকের ছেলে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার দিকে মরহুমের জানাজা শেষে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা হাসপাতাল পাড়ার মৃত আরমান মল্লিকের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন মল্লিক গতকাল শনিবার সকালে নিজ বাড়িস্থ পোল্ট্রি খামারে কাজ করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরগীর খাওয়ানোর জন্য বসতঘরে ওষুধ নিতে যান। ঘরে ওঠার সময় বারান্দার গ্রিলে হাত ঠেকা মাত্রই বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন এবং ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

প্রতিবেশীরা জানান, বাড়ির উঠানে কাঁদা পানি ছিলো। ফলে বারান্দার গ্রিলে জড়ানো বিদ্যুতের তার লিক হয়ে পুরোঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। তিনি খালি পায়ে ঘরে ওঠার সময় বারান্দার গ্রিল চেপে ধরার সাথে সাথে মাগো বলে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। ওই সময় ঘরের মধ্যে তার স্ত্রী ও দু মেয়ে ছিলো। পিতার চিৎকার শুনে তারা তড়িঘড়ি ঘর থেকে বাইরে এলে তারাও বিদ্যুতায়িত হয়। পরে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে তারা বাইরে বেরিয়ে আসে। কিন্ত তার আগেই মোয়াজ্জেম চলে যান না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুতে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। স্ত্রী মুসলিমা খাতুন, দু মেয়ে জুলেখা এবং আয়শাসহ স্বজনদের কাঁন্না আর আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। রাত ৯টার দিকে মরহুমের লাশের জানাজা শেষে নিজ গ্রামের কবস্তানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। ৫ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে মোয়াজ্জেম ছিলেন ছোট। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে দু ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

 

Leave a comment