এবার পৌরসচিব শরীফুল ইসলামকে হত্যার হুমকির অভিযোগ : থানায় জিডি

 

স্টাফ রির্পোটার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব কাজী শরীফুল ইসলামকে হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১২ জুলাই রাতে মোবাইলফোনে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়। মোবাইলফোনে দেয়া হুমকিতে বলা হয়েছে, শহরের যেখানেই তাকে পাওয়া যাবে সেখানেই তাকে উপর্যপুরী কুপিয়ে হত্যা করা হবে। এমনকি পরিবারের সদস্যদেরও একইভাবে হত্যা করার হুমকি দেয়া হয়েছে। হুমকির পর গতকাল শনিবার দুপুরে পৌর সচিব কাজী শরীফুল ইসলাম নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (ডায়েরি নং-৫৯৫) করেছেন।

ডায়েরিতে পৌরসচিব কাজী শরীফুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, গত ১২ জুলাই পৌরসভার দাফতরিক কাজ সঠিকভাবে না করার কারণে টিকাদান সুপারভাইজার আফরোজা পারভিনকে মৌখিকভাবে সর্তক করি ও একটু বকাঝকা করি। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে ০১৭১২-৪৭৮১৮২ নাম্বার থেকে মোবাইলেফোনে বলে কেন আফরোজা পারভীনকে বকাঝকা করেছি তার কারণ জানতে চাওয়া হয়। আমি ঘটনাটি তাকে অবগত করালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শহরের যেকোন প্রান্তে আমাকে কুপিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয়। একই সাথে আমার পরিবারের সদস্যদেরও একই পরিনতির কথা স্বরণ করিয়ে দেয়া হয়। সচিব কাজী শরীফুল ইসলাম তদন্তের স্বার্থে মোবাইলফোনে হুমকি দেয়ার রেকর্ডও পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোজাম্মেল হক জানান, পৌরসভার সচিবের নিরাপত্তার চেয়ে সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি পুলিশ সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে। তাছাড়া যে মোবাইলফোন নাম্বার থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে তা শনাক্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। পৌরসভার টিকাদান সুপারভাইজার আফরোজা পারভীনের দাখিল করা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে আফরোজা পারভীন যে অভিযোগটি আমাদের কাছে জমা দিয়েছিলেন। পুলিশী তদন্তে তার কোনো সত্যতা মেলেনি।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব কাজী শরীফুল ইসলামের সাথে টিকাদান সুপারভাইজার আফরোজা পারভীনের দ্বন্দ্বের বিষয়ে পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি গোটা ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গত ১২ জুলাই সচিব ও টিকাদান সুপারভাইজারের মধ্যে পৌরসভার প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এর বাইরে আর কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। বিষয়টি লোকমুখে শুনে পৌর পরিষদকে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।

তিনি আরো জানান, পৌরসভার আইন অনুযায়ী পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে মেয়রের কাছে লিখিতভাবে জানাতে হবে। কিন্তু আফরোজা পারভিন এ বিষয়ে আমাকে লিখিতভাবে কোনো কিছুই অবগত না করে থানায় অভিযোগ করেছেন এবং তিনি স্থানীয় পত্র পত্রিকাতে বিবৃতি দিয়েছেন যা গোটা পৌর পরিষদকে অবমাননার শামিল। আর পৌরসভার ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্নকারী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a comment