চুয়াডাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার গোলামকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মুদি ব্যবসায়ী গোলামের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে। তিনি এখনও অচেতন অবস্থায় আছেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এছাড়া জয়রামপুরের কৃষক নুর আলমকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। গত বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গায় দুজন ও জয়রামপুরের একজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গার কেদারগঞ্জ ও দামুড়হুদার জয়রামপুরে পৃথক দুটি হামলার ঘটনা ঘটে। দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে জেলা শহরের মহিলা কলেজের নিকটবর্তী বাড়ির গেটে মুদি ব্যবসায়ী গোলাম হোসেনকে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় গোলামের স্ত্রী কোহিনুর বেগমকেও কোপায় দুর্বৃত্তরা।  বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রাত ১০টার দিকে জয়রামপুর কলোনীপাড়ার কৃষক নূর আলমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। জখম মুদি ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন, তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম ও কৃষক নুর আলমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে গোলাম হোসেনকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাত ১টার দিকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জ পাড়ার মৃত মোরশেদ আলমের ছেলে গোলাম হোসেন স্থানীয় কেদারগঞ্জ পৌর মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি তার গোলাম স্টোর বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির গেটের কাছে পৌঁছালে সেখানে ওত পেতে থাকা ৬-৭ জনের একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকেও কোপায় তারা।

অন্যদিকে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কলোনীপাড়ার মৃত আবুল হালসানার ছেলে কৃষক নুর আলমকে রাত ১০টার দিকে স্থানীয় জয়রামপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি চায়ের দোকান থেকে ফিরছিলেন। বাড়ির কাছে পৌঁছালে ৩-৪ জনের একদল দুর্বৃত্ত তার পেছন থেকে উপর্যুপরি কোপায়। তার ঘাড়ে কয়েকটি গুরুতরভাবে কোপ লাগে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুর আলম জানান, আমার কারো সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। আচমকা কারা আমাকে কুপিয়ে পালিয়ে গেল তা বুঝতে পারছি না। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যও এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেননি।