দুজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম : একজনকে ঢাকায় স্থানান্তর

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মুদিব্যবসায়ী ও এক কৃষককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতরাতে চুয়াডাঙ্গার কেদারগঞ্জ ও দামুড়হুদার জয়রামপুরে পৃথক দুটি হামলার ঘটনা ঘটে। দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে জেলা শহরের সরকারি মহিলা কলেজের নিকটবর্তী বাড়ির গেটে মুদি ব্যবসায়ী গোলাম হোসেনকে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় গোলামের স্ত্রী ছুটে এলে তার হাতেও দুর্বৃত্তরা একটি কোপ মারে। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রাত ১০টার দিকে জয়রামপুর কলোনীপাড়ার কৃষক নূর আলমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। জখম মুদিব্যবসায়ী গোলাম হোসেন ও কৃষক নুর আলমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। গোলাম হোসেনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জপাড়ার মৃত মোরশেদ আলমের ছেলে গোলাম হোসেন (৪২) স্থানীয় কেদারগঞ্জ পৌর মার্কেটের মুদিব্যবসায়ী। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি তার গোলাম স্টোর বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির গেটের কাছে ওত পেতে থাকা ৬-৭ জনের একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তার মাথা ও শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপায় হামলাকারীরা। এ সময় তার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৩৫)। তার বাঁ হাতে একটি কোপ মেরে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। কী কারণে কারা এ হামলা চালিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই বলতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা। সদর থানা পুলিশের ওসি তোজাম্মেল হক জানান, কী কারণে কারা এ হামলা করেছে তা এখনই পরিষ্কার করে কিছু বলা যাচ্ছে না। জঙ্গি হামলা কি-না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এ ধরনের কোনো বিষয় নয়।

অন্যদিকে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কলোনীপাড়ার মৃত আবুল হালসানার ছেলে কৃষক নুর আলম রাত ১০টার দিকে স্থানীয় রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি চায়ের দোকান থেকে ফিরছিলেন। বাড়ির কাছে পৌঁছুলে ৩-৪ জনের একদল দুর্বৃত্ত তার পেছন থেকে উপর্যুপরি কোপায়। তার ঘাড়ে গুরুতরভাবে কোপ লেগেছে বলে সূত্র জানায়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকেও কারা কী কারণে কুপিয়ে জখম করেছে তা জানা যায়নি।