স্টাফ রিপোর্টার: জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এর অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ঢাকাসহ দেশের ১৯টি জেলায় সমাবেশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, ওলামা-মাশায়েখ ও বিশিষ্টজনদের সাথে মতবিনিময় করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। গতকাল বুধবার রাতে চেয়ারপাসনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের সিনিয়র নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আসম হান্নান শাহ, জমির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকেসূত্রে জানা গেছে, জঙ্গিবাদ মোকাবেলা এবং জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ৮ জুলাই ঢাকা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে বরিশাল বাদে সবকটি মহানগর ও কয়েকটি জেলা শহর মিলিয়ে ১৯টি জায়গায় জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ করার প্রস্তাবনা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লিখিত আকারে দেয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের আলোকে আজ বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, ওলামা-মাশায়েখ ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এছাড়া ২০ দলয়ি জোটের বাইরে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনা করা হবে। এর আগে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত সাড়ে ৮টা থেকে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সম্প্রতি সংঘটিত গুলশানের ক্যাফের বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনার সহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন জোট নেতাদের কাছে কী করণীয় সে বিষয়ে তাদের মতামতও শুনেন। বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল জোট নেতাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ইতালীয়, জাপানি, ভারতীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। জোট এই ঘটনা শোক প্রকাশ করছে। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
ফখরুল বলেন, গুলশানের ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ মোকাবিলায় যে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন, তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে ২০-দলীয় জোট। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে ক্ষমতাসীন জোটের সাড়া না দেয়াকে জাতির প্রতি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে মনে করে ২০ দলীয় জোট। মির্জা ফখরুল জানান, দলীয় ফোরামের নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি চেয়ারপারসন পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। বৈঠক সূত্র জানায়, জঙ্গিবাদ মোকাবেলা ও জাতীয় ঐক্য গড়ার ক্ষেত্রে সমাবেশ ও জাতীয় কনভেনশন করার প্রস্তাব দিয়েছেন ২০ দলের নেতারা।