রাজনীতিবিদ হবেন আফ্রিদি!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিয়ে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। কিন্তু খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসর নেয়ার ঘোষণা এখনো দেননি শহীদ আফ্রিদি। তবে সেটা যখনই শেষ হোক, ভবিষ্যতে রাজনীতি করার ইচ্ছা ৩৬ বছর বয়সী এ পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের। আসলে অবসর না নিলেও ক্যারিয়ারটা গোধূলি লগ্নে এসে গেছে বলেই আফ্রিদির সামনে চলে আসছে অবসর-পরবর্তী ভাবনা। বিবিসি উর্দুকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে, রাজনীতিতে প্রবেশের ইচ্ছে আছে। অবশ্য আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী এটার বিপক্ষেই মত দিচ্ছেন। ঐতিহ্যগতভাবে উপমহাদেশের রাজনীতি মানেই নানা জটিলতা আর ঝুঁকি। আফ্রিদি তবু কেন রাজনীতিই করতে চান? সেটা তার মুখ থেকেই শুনুন, আমার দৃষ্টিতে একজন রাজনীতিক জনগণের সেবক। কাজেই তার জনগণের সেবা করা উচিত।

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়ার উদাহরণ পাকিস্তানের ক্রিকেটে আগেও আছে। ১৯৯২-এর বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান অধিনায়ক ইমরান খান ক্রিকেট থেকে অবসরের পরই জড়িয়ে যান রাজনীতিতে। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। আফ্রিদিও সে রকমই কিছু করতে চান কি-না, তা অবশ্য এখনো বলা যাচ্ছে না। ক্রিকেটকে যে এখনই বিদায় বলতে চাইছেন না তিনি, ‘জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া পর্যায়ে হলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। নিজেকে এখনো খেলার জন্য ফিট মনে করি আমি।