দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় ঈদের আগে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও তা এখনও পর্যন্ত বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। ভিজিএফ কার্ডধারী এলাকার বেশ কিছু দুস্থ লোকজন গতকাল সোমবার সকালে টোকেন হাতে ইউনিয়ন পরিষদে এলেও চাল না নিয়ে তাদের ফিরে যেতে হয়েছে। টোকেন প্রাপ্তদের মধ্যে দশমীর নায়েব আলী বলেন, ঈদের আগে চাল দেয়ার কথা। ওই সময় আমরা চাল না পেয়ে ফিরে গেছি। চেয়ারম্যানের বিচার হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা সদর ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল হাশেম বলেন, মেম্বারদের না ডেকে চেয়ারম্যান একা একা নিজের পছন্দের লোকজনের মধ্যে চাল বিতরণ করেছেন। ফলে যাদের কাছে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা টোকেন আছে তাদের মধ্যে অনেকেই চাল পাননি। একা মাতবরি করতে গেলে ধরাতো খেতেই হবে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা রিকশা-ভ্যান-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম নুরননবী বলেন, চাল চুরি করলাম আর তা ধরা পড়ার পর বাজার থেকে কিনে এনে বিতরণ করলাম এটাকে বিচার বলে না। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান ইউএনও’র নিদের্শে গতকাল বাজার থেকে চাল কিনে এনে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাহলে সরকারের দেয়া চাল গেলো কোথায়?। নিশ্চয় তিনি ওই চাল চুরি করে বিক্রি করেছেন না হয় নিয়ম ভেঙে নিজের লোকজনকে দিয়েছেন। এছাড়া ওইদিন গোডাউনে ৫ বস্তা চাল দেখে ইউএনও প্রশ্ন করলে ওই চাল ঝন্টু মিয়ার জন্য রাখা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান স্বীকার করেন। এটা বড় ধরনের অপরাধ হলেও ইউএনও তাকে আইনের আওতায় না এনে বিষয়টি কৌশলে পাশ কাটিয়ে যান। চাল চুরির অপরাধে আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনায় গণস্বাক্ষর করে মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন বলেন, ঈদের আগে অর্থাৎ ৩ ও ৪ জুলাই ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করার নির্ধারিত দিন ছিলো। ওই দু দিনে মোট ২৯০২ জনের মধ্যে ২৭৫৮ জনের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ৫ জুলাই সকালে অতিরিক্ত ৬৮ জনকে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে উপস্থিত মহিলারা গোডাউনে ঢুকে পড়ে এবং যে যার মতো চাল লুট করে নিয়ে যায়। ফলে বেশকিছু টোকন প্রাপ্তদের চাল দেয়া সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান গত রোববার ঘটনার সত্যতা যাচাই শেষে আমাকে দোষী সাবস্ত করেন এবং লিখিত নেন। ওনার নির্দেশনা মতোই গতকাল বাজার থেকে চাল কিনে বিতরণ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়। পরে বাধার মুখে ওই চাল বিতরণ সম্ভব হয়নি।