জহির রায়হান সোহাগ: গত শনিবার থেকে রেল কর্তৃপক্ষ দেয়া শুরু করেছে ঈদ শেষে কর্মস্থল রাজধানীতে ফেরার অগ্রিম টিকেট। প্রথম দিন যারা টিকেট কাটতে পারেননি সেই সব যাত্রীরা গত রোববার থেকে ভিড় করেছেন কাউন্টারে। ফিরতে গিয়ে টিকেট বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। সড়কপথের ঝামেলা এড়াতে ফিরে যাওয়ার সময় অধিকাংশ যাত্রী ট্রেন যাত্রাকে বেছে নিচ্ছেন। ক’দিনের ছুটি নিয়ে আসা সেই কর্মজীবী মানুষদের ঈদের পর কর্মস্থলে ফেরার সময় পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। তার ওপর যোগ হয়েছে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়। তবুও পথে বাড়তি ভোগান্তি মেনে নিয়েই কর্মস্থলে ফিরতে ব্যস্ত কর্মজীবী মানুষেরা।
টিকেট না পেয়ে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ৬-৭ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে মিলছে ট্রেনের টিকেট তাও আবার আসন ছাড়া, অর্থাৎ দাঁড়িয়ে যাওয়ার। ঈদে ঢাকা থেকে বাড়ি আসার সময় টিকেট পেতে যে ঝামেলা পোয়াতে হয়েছে, ফেরার সময়ও ঠিক একই ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
খুলনা-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী দুটি নিয়মিত ট্রেনের মধ্যে চিত্রা এক্সপ্রেস গতকাল সোমবার সাপ্তাহিক বন্ধ ছিলো। আর এ কারণে এই রুটে যাত্রী ভোগান্তি মাত্রা ছাড়িয়েছে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার সময়। এদিকে রাজশাহী-খুলনা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি ট্রেনেরও গতকাল সাপ্তাহিক বন্ধ ছিলো।
চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার ফজলুল করিম জানালেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে ঈদের পর চিত্রা এক্সপ্রেস এবং সাগরদাঁড়ি ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ বলবৎ রয়েছে। এদিকে অনেক যাত্রী যারা ট্রেন বন্ধের কথা না জেনে স্টেশনে এসেছিলেন কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এই ধরণের সিদ্ধান্ত কাণ্ডজ্ঞানহীনতার সাথে তুলনা করলেন। তারা জানান, ঢাকা ও অন্য রুটের ট্রেনগুলো কয়েক ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করছে। প্রতি বছর ঈদের আগে ও পরে খুলনা-ঢাকা রুটে সাত দিনের জন্য চলাচল করে ঈদ স্পেশাল নামে একটি অতিরিক্ত ট্রেন। ঈদের পর এক সপ্তাহ একে তো তিনটি ট্রেন, তার ওপর নিয়মিত চলাচলকারী সুন্দরবন এবং চিত্রা এক্সপ্রেস ৭ দিনে ২ দিন সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে। এতে খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঈশ্বরদী, এলাকার হাজার হাজার যাত্রী প্রতি ঈদের পর ঢাকায় ফিরে যেতে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়ে। চলাচল নির্বিঘ্ন করতে অন্তত ঈদের পরের ৭ দিন ঢাকাগামী কোনো ট্রেনের যেন সাপ্তাহিক বন্ধ না থাকে দাবি ভুক্তভোগী যাত্রীদের।