মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে আসা ৮টি ভারতীয় গরু বিক্রি হয়েছে মাত্র ৯৭ হাজার টাকায়। গতকাল সোমবার দুপুরে ৮টি গরু নিলামে তোলা হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি প্রাপ্তদাম গরুগুলোর মূল্যের ৬০ ভাগের বেশি হওয়ায় সর্বোচ্চ দরদাতাকে গরুগুলো প্রদান করা হয়েছে। আর বিজিবি বলছে ভারতীয় গরু আটকের পর তা নিলামে তোলার সব দায়িত্বই কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মনোহর জানান, গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাথুলী সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারীরা গরু নিয়ে আসছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় গরুগুলো ফেলে পালিয়ে যায় চোরাকারবারীরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৮টি গরু আটক করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গরুগুলো নিলামে তোলেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং সর্বোচ্চ দরদাতার হাতে ৯৭ হাজার টাকায় গরুগুলো তুলে দেন।
এদিকে গরুগুলো নিলামে তোলোর পর নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে। তারা বলেছেন, বর্তমান বাজারে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার নীচে কোনো গরু মেলে না। অথচ প্রতিটি গরু মাত্র ১২ হাজার টাকা দরে কিভাবে নিলামে বিক্রি করলেন কাস্টসম কতৃপক্ষ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, যেখানে ৮টি গরুর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সেখানে কি করে মাত্র ৯৭ হাজার টাকায় গরুগুলো নিলামে বিক্রি করা হলো? এতে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর দায় একমাত্র কাস্টসম কতৃপক্ষের। এতে কাস্টমস কতৃপক্ষের যোগসাজস থাকতে পারে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
মেহেরপুর কাস্টমস বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুন্নবী চৌধুরী জানান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মেম্বারদের উপস্থিতিতে গরুগুলো নিলামে তোল হয়েছে। মেহেরপুর শহরের কয়েকজনসহ এলাকার ৬ জন ব্যবসায়ী অংশ নেন। সর্বোচ্চ দরদাতাকে ৯৭ হাজার টাকায় ওই ৮টি গরু প্রদান করা হয়েছে। গরুগুলোর মূল্যের ৬০ ভাগের বেশি দাম পাওয়া গেছে। যা কাস্টসম আইনের মধ্যে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।