আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়ার একাধিক হত্যা মামলার ২ আসামিসহ গ্রেফতার ৫

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া গ্রামের ২ নটরাজ ইউনুস আলী ও আকালেসহ ৫জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে ইউনুস ও আকালে একাধিক হত্যা মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামি। বোমা মেরে ও কুপিয়ে আহত করে আলমডাঙ্গা–কুষ্টিয়া সড়কে ডাকাতির মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাদেরকে গতকাল শনিবার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পাগলাপাড়ার মৃত নবীসদ্দীনের ছেলে ইউনুস আলী (৫৫) ও নতুনপাড়ার মৃত ওদুদ উদ্দীনের ছেলে আকালেকে (৪০) গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল শনিবার তাদেরকে গত ২৮ মে রাতে আলমডাঙ্গা–কুষ্টিয়া সড়কে বোমা হামলা ও কুপিয়ে জখম করে ডাকাতির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত দুজনই এলাকার আন্ডার ওয়াল্ডের নটরাজ হিসেবে পরিচিত। ইউনুস আলী এক সময় পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (জনযুদ্ধের) দাদা তপন, রানা, সবুজের সহযোগী ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে ক্রসফায়ারে নিহত জিনারুলের সাথে লাল পতাকার ছায়াতলে ভীড়ে এলাকায় তাণ্ডব চালায়। সে সময় গাংনী উপজেলার গোপালনগরে রানার সাথে অস্ত্রসহ ধরা পড়ে জেল খেটেছিলো। সে গাংনীর আগাড়ার ৭ মার্ডার, জালশুকার ৩ মার্ডার, ভাংবাড়িয়ার মহাসিন মার্ডার মামলার আসামি বলে জানা গেছে।

এছাড়া আকালে এক সময় লাল পতাকার নটরাজ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ক্রসফায়ারে নিহত বাঁশবাড়িয়ার প্যাভেলের প্রধান সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। আকালে গাংনীর পৌর মেয়র আমিরুল হত্যা, গাংনীর মানিকদিয়ার বাবলু টাইগার হত্যা, মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গার লিয়াকত হত্যা, আলমডাঙ্গার ক্ষোরদের চান্দু মেম্বারের ছেলে হত্যা মামলার আসামি। এ সকল মামলার মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন বলে জানা যায়।

এছাড়াও একই উপজেলার পাঁচকমলাপুর গ্রামের মঈনুল হকের ছেলে মুকুল (২৫),  আবদুর রহমানের ছেলে হাসান মাহমুদ লিখন (৩০) এবং ইউনুস আলীর ছেলে জাবেদকে একই মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।