দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্পর্কে ফেসবুকে মিথ্যা মন্তব্য লিখে ফেসবুকে প্রচার করায় পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। একজন সৎ, যোগ্য দেশসেরা ইউএনও সর্ম্পকে না জেনে ওই রকম মিথ্যা কথা লিখে ফেসবুকে প্রচার করায় সর্বমহল থেকে তাকে পাল্টা ধিক্কারসহ তিরষ্কার করা হয়। গতকাল সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হয়। যাচাইকালীন ইউএনও প্রকৌশলীদের চোর বলেননি বলে উপস্থিত সকল সদস্যগণ লিখিতভাবে জানান। পরে অভিযুক্ত উপসহকারী প্রকৌশলী রওশন হাবীব ভূল শিকার করে ক্ষমা চান এবং লিখিত বক্তব্য বলেন, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যানের প্ররোচনায় ওই মিথ্যা মন্তব্য লিখেছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপরে দামুড়হুদা উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী রওশন হাবীব দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমানের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে মিথ্যা এবং বাজে মন্তব্য লিখে ফেসবুকে প্রচার করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান তার কার্যালয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী রওশন হাবীবকে ডেকে আনেন। দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর জাহান, মৎস্য কর্মকর্তা আইয়ুব আলী, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টুসহ উপস্থিত উপজেলা পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ লিখিতভাবে জানান যে, গত ২৮ জুন উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলীদের চোর বলে আখ্যায়িত করেননি এবং আমরা চোর কথাটি শুনিনি। ফলে উপসহকারী প্রকৌশলী রওশন হাবীব কর্তৃক ইউএনও সম্পর্কে যে সমস্ত বাজে মন্তব্য লিখে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে তা মিথ্যা প্রমানিত হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ তাকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিলে অভিযুক্ত প্রকৌশলী বলেন প্রত্যেকের বাক স্বাধীনতা আছে। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় প্রকৌশলী রওশন হাবীব ক্ষমা চেয়ে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন ইউএনও সাহেব আপনাদেরকে চোর বলেছেন। যা আমার কাছে খারাপ লাগে এবং এলজিইডির ভাবমূর্তি খুন্ন হয়েছে বলে মনে করি। আমি সত্যতা যাচাই না করেই ফেসবুকে ওই কথাগুলো লিখে ফেলেছি। তিনি যা লিখেছেন তা মিথ্যা মর্মে লিখে পুণরায় ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ ঘটনায় উপস্থিত পরিষদের সকল কর্মকর্তাই দু:খ প্রকাশ করেন এবং এবারের মতো ক্ষমা করার অনুরোধ জানালে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে এ যাত্রায় ক্ষমা করেন।