প্রফেসর মুহাম্মদ ইউসুফ আলী: আজ ২৫ রমজান এবং পবিত্র জুমাতুল বিদা। আজই রমজানের শেষ শুক্রবার বা জুম্মা। হাদিসে জুম্মার দিনকে সপ্তার সবচেয়ে উত্তম দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কোরআন হাদিসে জুমাতুল বিদা হিসেবে বিশেষ কোন দিনের উল্লেখ না থাকলেও রমজান মাসের শেষ শুক্রবার বা আখেরি জুম্মা হিসেবে দিনটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ মসজিদে মসজিদে জুম্মার শেষে মুসল্লিরা জাহান্নাম থেকে নাজাতের আশায় মহান আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি ও ফরিয়াদ করবেন। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রায় সব মসজিদেই বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। জুম্মা দিনের ফজিলত সম্পর্কে হুজুর (সা.) এরশাদ করেন, এমন সকল দিন অপেক্ষা যাতে সূর্য উদয় হয়, জুম্মার দিনই হলো উত্তম দিন। জুম্মার দিনেই হযরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, উহাতেই তাকে জান্নাতে দাখিল করা হয়েছে, উহাতেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে, আর জুম্মার দিন ব্যতীত কেয়ামত কায়েম হবে না (মুসলিম)। আর এক রেওয়াতে আছে, জুম্মার নামাজ এক জুম্মা থেকে অপর জুম্মা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের জন্য গুনাহের কাফফারা স্বরুপ। ইবনে মাজাহ শরিফের এক রেওয়াতে নবী করীম (সা.) এরশাদ করেন, জুম্মার দিন সকল দিনের সর্দার এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত দিন। উহা কোরবানির দিন এবং ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত (মেশকাত)। জুম্মার দিনের ফজিলত সম্পর্কে বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, হুজুর (সা.) এরশাদ করেছেন, কোনো মুসলমান যদি জুম্মার দিনে অথবা জুম্মার রাতে মারা যান, আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই তাকে কবরের ফেতনা হতে রক্ষা করবেন (আহমদ, তিরমিজি, বায়হাকি)।
অপর এক হাদিসে এসেছে জুম্মার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যখন মোমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কল্যাণকর যা চায় তা’ই পায় (বুখারি, মুসলিম)। তাই আসুন আমরা সকলে নাজাতের এই দশকে এবং সপ্তাহের সবচেয়ে দামী দিন জুম্মাতে মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি মাগফেরাতের দোয়া করি যাতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সমস্ত অতীত গুনাহ মাফ করে দিয়ে আমাদের পূত-পবিত্র জীবন দান করেন। আমিন। (লেখক: অধ্যাপক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়)।