চুয়াডাঙ্গার জননী কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার রাজনের বিরুদ্ধে চুরি ও অনিয়মের অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: জননী কুরিয়ার সার্ভিস চুয়াডাঙ্গা শাখার ম্যানেজার রাজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। সমবায় নিউ মার্কেট ও প্রিন্সপ্লাজার গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা ম্যানেজার রাজনের বিরুদ্ধে পার্শ্বেল আসা মালামাল চুরি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন। এমনকি গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটিয়েছেন তিনি। চুরির বিষয়টি স্বীকার করলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার সমবায় নিউ মার্কেট ও প্রিন্সপ্লাজাসহ অধিকাংশ ব্যবসায়ী মালামাল আনা নেয়া করেন জননী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। আনা নেয়ার সময় প্রতিবস্তা থেকেই গার্মেন্টসের মালামাল চুরি করে জননী কুরিয়ার সার্ভিসের লোকজন। বিষয়টি কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা স্বীকার করে এবং চুরি হওয়া মালামালের টাকা পরিশোধ করার আশ্বাসও দেয়। তবে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে চুরি যাওয়া বাবদ অল্প কিছু টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা এবং অন্যান্যদের টাকা এখনও ফেরত দেয়নি তারা। এবিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও দেখা যায়নি জননী কুরিয়ার সার্ভিসের। এছাড়া ব্যবসায়ীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটিয়েছেন কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার রাজন।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের জুলাই মাসে বস্তাভর্তি মাল ঢাকাতে ফেরত পাঠান নন্দন গার্মেন্টসের সত্ত্বাধিকারী সুমন পারভেজ খান। ওই বস্তা থেকে ৭ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ৪ পিস শার্ট বের করে নেয় জননী কুরিয়ার সার্ভিসের লোকজন। বিষয়টি কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা। এরপর গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকা থেকে পাঠানো গার্মেন্টস মালামাল নেয়ার জন্য ফোন করলে সুমন পারভেজের সাথে দুর্ব্যবহার করে তারা। পরে সেখানে গেলে হাতাহাতিও করে জননী কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার রাজন। সে সময় ব্যবসায়ী সুমন পারভেজ দোকান মালিক সমিতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।

ব্যবসায়ীরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন, সমবায় নিউ মার্কেটের ইমন গার্মেন্টসের ৯ হাজার, হৃদয় গার্মেন্টসের ১৪ হাজার, হৃদয় কালেকশনের ৫ হাজার ২৯০, অভিজাত গার্মেন্টসের ১১ হাজার ৫০, ফাল্গুনী বস্ত্র বিপনী ৪ হাজার, সাজঘর গার্মেন্টসের ৪৭ হাজার ৫৫০, পোষাক মহলের ৪৪ হাজার ৬২০, রহমান গার্মেন্টসের ১৬ হাজার টাকার মালামাল চুরি যায়। এছাড়া, কাশফুল গার্মেন্টস, নয়ন গিফট গার্ডেন, ভাইভাই লেদার, ডিজেল রানা, গ্রামীন সুজ ও রাসেল গার্মেন্টসের মালামাল চুরি হয়। তবে এখনও কোনো প্রতিকার হয়নি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

Leave a comment