ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা ফুটে উঠেছে। ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুত না পেয়ে গ্রাহক সাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহের করুণ অবস্থার বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গার পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস হাতিকাটার অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইলফোন দূরাস্ত, মোবাইলফোনটি রিসিভই হয় না। কখনো কখনো ফোন রিসিভ হলেও অভিযোগকারীরদের সাথে যেভাবে কথা বলা হয় তা অমার্জনীয়। অনেকেই এ অভিযোগ করে বলেছেন, ভালাইপুর, গোকুলখালী এলাকাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার দিনরাত সমান তালে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। গতকয়েক দিন ধরে দিনের বেলায় ৬-৭ বার ও রাতে ৫-৬ বার বিদ্যুতের আসা যাওয়া চলছে। আর বিদ্যুত যাওয়ার পরে অভিযোগ কেন্দ্র ফোন না ধরায় ফুঁসে উঠেছে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।
গোকুলথালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ও ভালাইপুর গ্রামের ব্যাবসায়ী মুফাজ্জেল বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং এখন বিদ্যুত অফিসের লোকজনের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। ভালাইপুর গ্রামের ছমির আলী অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রোববার সন্ধা সাড়ে ৬টায় বিদ্যুত গিয়ে, আসে সাড়ে ৯টায়, আবার ১০টায় গিয়ে আসে সাড়ে ১১ টায়, পৌনে ১২ টায় গিয়ে আসে দেড়টায়। সারা রাতে ৬-৭ বার বিদ্যুতের আসা যাওয়া করেছে। এভাবে একটানা বিদ্যুত না থাকলে যেমন রোজাদারেরা সারাদিন রোজা রেখে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে তেমনি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিশু, বৃদ্ধ এবং শ্রমিকেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা হাতিকারার পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের মোবাইলফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইলফোন রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।