আলমডাঙ্গায় চিরকুটে খুনের হুমকি : সপরিবারে শঙ্কিত সিদ্ধেশ্বরী অধিকারী

 

হতবাক সম্প্রীতির গ্রাম : সকল প্রকারের পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি  

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জের খুদিয়াখালী গ্রামের এক সংখ্যালঘু পরিবারের পিতা-পুত্রকে খুনের হুমকি দেয়া হয়েছে। খুনের হুমকি দিয়ে লেখা চিরকুটটি গত শনিবার পলিথিনে মোড়ানো দু টাকার একটি নোটের সাথে দেখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হুমকিতে শঙ্কিত পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলেছে।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য স্থানীয় কোনো ব্যক্তি বা কোনো চক্র আইএস’র নাম ব্যবহার করে খুনের হুমকি দেয়ে থাকতে পারে। তবুও বিষয়টিকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখা হচ্ছে না বলে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে। এলাকার কেউ কেউ বলেছেন, দেশে যখন একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে তখন এ ধরনের খুনের হুমকির বিষয়টি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুদিয়াখালী গ্রামের হিন্দু মুসলিম পরিবারগুলোর মধ্যে রয়েছে চমৎকার সম্প্রীতি। মিলে মিশেই থাকে সকলে। এর মাঝে খুনের হুমকি সকলকে হতবাকও করেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন জেহালা ইউনিয়নের খুদিয়াখালী গ্রামের স্বর্গীয় গরুপদ অধিকারীর ছেলে সিদ্ধেশ্বরী অধিকারী তার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তার বাড়ির পাশে গত শনিবার পলিথিনে মোড়োন দু টাকার একটি নোট ও দুটি কাগজ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের এক সদস্য তা কুড়িয়ে খুলে দেখেন। তিনি পড়তে না পারায় প্রতিবেশী একজনের নিকট নিয়ে পড়িয়ে শোনেন। চিরকুটি লেখা, ‘এই সিদ্দি ভালো হয়ে যা। নাই ভারতে পালা, তাহলে তোর জানে মেরে ফেলবো, তোর বাড়ি ছেলে আর তুই পালিয়ে যা। ৫ দিনের মধ্যে তোদের দুইজনকে এক সাথে বলি দেবো। চিরকুটের শেষে ইংরেজি বর্ণমালায় বড় অক্ষরে লেখা আইএস।’

খুনের হুমকি দিয়ে লেখা চিরকুটের বিষয়টি প্রথমে গোপন করা হলেও বিষয়টি জানজানি হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গতকাল মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই রনজিত কুমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ওই পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা  বলেন। আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পুলিশের তরফে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

স্থানীয়রা বলেছেন, সিদ্ধেশ্বরী অধিকারী দরিদ্র। তিনি তিন ছেলের জনক। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কোনো রকম টেনে টুনে সংসার চালান। হঠাৎ খুনের হুমকি দিয়ে লেখা চিরকুট পেয়ে সপরিবারে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

Leave a comment