চুয়াডাঙ্গার মাছেরদাইড় গ্রামে চরমপন্থি পরিচয়ে চাঁদা চেয়ে হুমকি অব্যহত

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের মাছেরদাইড় গ্রামে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করে ক্ষান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা। একের পর এক চাঁদা চেয়ে এলাকায় নিরিহ ব্যসসায়ীদের অতিষ্ঠ করে তুলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে একটি বিদেশি ফোন নম্বকে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট (লাল পতাকা) মুরাদ পরিচয় দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না পেয়ে কাথুলি ও মাছেরদাইড় গ্রামে বোমা নিক্ষেপ করেছে সন্ত্রাসীরা। চাঁদা চেয়ে একের পর এক মোবাইলফোনে পরিবারসহ হত্যার হুমকি দিয়ে চলেছে সন্ত্রাসীরা।

গত এ সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুরের মাছেরদাইড় ও কাথুলি গ্রামে একের পর এক চরমপন্থি পরিচয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা চেয়ে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। মাছেরদাইড় গ্রামের মৃত বাতেনের ছেলে চাতাল ব্যবসায়ী আসক আলীর কাছে চাঁদার দাবিতে বোমা নিক্ষেপ করে ক্ষান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা। মোবাইলফোনে চাঁদা চেয়ে পরিবারসহ হত্যার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। গতকাল শনিবার কাথুলি গ্রামের নিজেকে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) নেতা মুরাদ পরিচয় দিয়ে মালয়েশিয়ার একটি ফোন নম্বর থেকে মৃত আব্দুল বারেক সরকারের ছেলে আব্দুল হাকিমের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে। হাকিম জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোবাইলফোনে ফোন করে বলে, দাবিকৃত টাকা না দিলে পরিবারসহ তাকে হত্যা করা হবে। পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে মাছেরদাইড় গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুর বাতেনের ছেলে চাতাল ব্যবসায়ী আসক আলীসহ একই গ্রামের পালাশ ও জসিম ডাক্তারের নিকট গত এক সপ্তাহ ধরে একটি বিদেশি ফোন নাম্বার থেকে চাদাঁদাবী করে আসছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পরিবারসহ হত্যার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। গতপরশু শুক্রবার গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে বাড়ির উঠোনের চাতালে বসে থাকার সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির উঠোনে একটি বোমা নিক্ষেপ করে সন্ত্রাসীরা। বোমাটি বিস্ফোরিত না হলেও তাদের মাঝে আতঙ্ক ছাড়ায়। তাদের ছোটাছুটি আর চিৎকারে গ্রামবাসী বোমা নিক্ষেপকারীদের পিছু ধাওয়া করে। সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ বোমটি উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতিতে চাঁদা দাবিকৃত ফোন নম্বর থেকে ফোন করে হত্যার হুমকিসহ চাঁদা চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একর পর এক ব্যবসায়ীদের নিকট চাঁদা চেয়ে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এ ঘটনায় মাছেরদাইড় গ্রামের কয়েকটি পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক বলেন, ইতোমধ্যে চাঁদাবাজদের শনাক্ত করা হয়েছে। চাঁদাবাজ চক্রকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।

Leave a comment