ঈদের কেনাকাটার ভিড়ের মাঝে সুযোগ খুঁজছে চোর

 

ঈদবাজার জমে উঠেছে। সকাল হতে না হতেই যেমন বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, তেমনই মধ্যরাত পর্যন্ত দেদারছে চলছে বেচা-কেনা। দিনের অধিকাংশ সময় জুড়েই থাকছে ভিড়। আর এই ভিড়ের মাঝে সুযোগ নিচ্ছে মতলববাজ চোর অথবা প্রতারকচক্র। ফলে ঈদের কেনা-কাটার ভিড়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন অনিবার্য। অন্যথায়- সর্বনাশ! করতে হবে হাহুতাশ।

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশেই ছোট-বড় বিপণী বিতানগুলোতে ঈদের সময় বাড়তি চাপ থাকে। বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল ফিতরে নতুন পোশাক কেনার ধুমপড়ে। ফলে হাট-বাজারে রাস্তা ঘাটে সর্বত্রই ভিড় জমে। ভিড়ের মাঝে চোখের পলকে চুরি হয় টাকার থলি, মূল্যবান মালামাল। মতলববাজ চোর আশে-পাশেই ঘুর ঘুর করে। সামান্য অন্যমনষ্ক হলেই হাতিয়ে নিয়ে কৌশলে চম্পট দেয়। ছেলে-মেয়ে ও নিজেদের জন্য নতুন পোশাক কেনার জন্য বাড়ি থেকে বাজারে বেরিয়ে টাকা হারিয়ে হাইহাই করতে হয়। গতকালও চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার পুরাতন গলির ভেতরে এক ক্রেতার টাকা চুরি হলে এক প্রতিবন্ধী যুবককে ধরে পিটুনি শুরু হয়। এর আগে পলি সু থেকে এক নারী ক্রেতার টাকাসহ ভ্যানিটিব্যাগ চুরি হয়। এ ধরনের চুরিই শুধু হচ্ছে না, ক্রেতা সেজে ভিড়ের মাঝে অনেক দোকানের মালামালও চুরির অহরহ খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর টাকার জালনোট দিয়ে প্রতারণা? সে তো আছেই।

সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন- এতো যে চুরি, পুলিশ কী করে? পাল্টা প্রশ্নটাও অমূলক নয়, অতো মানুষের মাঝে গুটি কয়েক পুলিশ কী করবে? সে কারণেই জানমালের নিরাপত্তার ভার শুধু পুলিশের ওপর দিয়ে দায় এড়ানো যায় না। নিজেদেরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এরপরও পুলিশ যদি ছদ্মবেশে ভিড়ের মাঝেও চোর ধরে দক্ষতার নজির দেখায় তাহলে জনমনে স্বস্তি ফিরবে। আস্তা বাড়বে পুলিশের ওপর।

Leave a comment