ইবির ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল : চাকরির দাবিতে ভিসি অবরুদ্ধ

 

কষ্টিয়া প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েলর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাসের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। মহড়া শেষে তারা চাকরির দাবিতে ভিসিকে তার নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভিসি তার নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিগত তিনদিন ধরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাস স্থানীয় চরমপন্থীদের সহয়তায় ক্যাম্পাসে মিছিল মিটিং করে আসছে। গত বুধবার তারা প্রায় দুইশতাধিক বহিরগত নিয়ে ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া দেয়। এতে ক্যম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একইভাবে তারা বৃহস্পতিবারও বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়। এতে ক্যাম্পাসের স্বাভাভিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এদিকে শনিবারও আধিপত্য ধরে রাখতে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তিন শতাধিক বহিরাগত সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক চাকরির বিষয় নিয়ে ভিসির সাথে কথা বলতে যায়। সেখানে আশানুরুপ কিছু না পেয়ে তারা বহিরাগতদেরকে আন্দোলনে উস্কে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় চাকরি প্রত্যাশী গ্রুপটি ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। পরে বেলা ১টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সধারণ সম্পাদক ভিসির সাথে আবারও দেখা করতে যান। এ সময় তারা চাকরির বিষয় নিয়ে ভিসির সাথে দেনদরবার করেন। এদিকে বেলা পৌনে ২টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় চরমপন্থী ও ঠিকাদাররা ভিসির সাথে দেখা করতে যায়। এতে ভিসি বিব্রত হয়ে কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাসায় চলে যায় বলে ভিসি অফিসে কর্মরত এক কর্মকর্তা জনান। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে মিছিল করেছি। প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ক্যম্পাসে আধিপত্য বিস্তার করতে বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের সহসভাপতি গ্রুপ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহড়া দিয়েছে। তার পাল্টা হিসেবে বর্তমানে ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক একই কাজ করছে। তবে ক্যাম্পাস শান্ত রাখতে প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার জানান, কাউকে চাকরি দিতে হলে নিয়ম মেনে দিতে হয়। তারা অহেতুক দাবি করলে সেটি মেনে নেয়া সম্ভব নয়।

Leave a comment