চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা দুজনের কঙ্কাল ফেলা হলো জঙ্গলে : উঠলো প্রশ্ন

 

স্টাফ রিপোর্টার: দুজন মানুষের কঙ্কাল। মাথায় দিব্যি লেগে আছে দুপাটি দাঁত। কতোদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা মর্গে পড়ে ছিলো কে জানে? অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার মানুষের হাড়গোড়গুলোর ঠাঁই মিলেছে মর্গ প্রাঙ্গণের একটি জঙ্গলের মধ্যে।

জঙ্গলের মধ্যে দাঁত খিচিয়ে পড়ে থাকা কঙ্কাল দেখে উৎসুক জনতা গতকাল দুপুরের পর মাঝে মাঝেই ভিড় জমিয়েছে। কোথা থেকে এলো? কাদের কঙ্কাল? এসব প্রশ্নের জবাব জানতে গেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে বর্তমানে কর্মরত ডোম রাম প্রসাদ বললেন, ওগুলো বাবার আমলের, আনুমানিক ১৪/১৫ বছর আগের। মর্গের একটি ঘরে পড়ে ছিলো। আরএমও স্যারের সম্মতি নিয়েই মর্গের ঘরগুলো পরিষ্কার রাখার জন্য ওই কঙ্কাল  ঝোড়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাসুদ রানার সাথে অবশ্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সিনিয়র মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. পরিতোষ  কুমার ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোনো মানুষের কঙ্কাল যেখানে সেখানে ফেলা উচিত হয়নি। তাছাড়া কার কঙ্কাল, কোথায় কেন কতোদিন ধরে পড়ে ছিলো সে সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

স্থানীয়দের বেশ কয়েকজন বললেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতাল মর্গটি এক সময় ছিলো টিনের দোচালা। তখন বর্তমান ডোম রাম প্রসাদের বাবা মতি লাল দায়িত্ব পালন করতেন। এরপর সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে পাকা স্থাপনা। ওই স্থাপনারই একটি ঘরে ছিলো দুজনের কঙ্কাল। ময়নাতদন্তের ঘর তথা মর্গে কি মরা মানুষ বছরের পর পর রাখার বিধান আছে? তাহলে ওই দুটি কঙ্কাল কাদের? কেনই বা দীর্ঘদিন মর্গে পড়ে থেকে কঙ্কালে রূপান্তর হয়েছে। এরপর ঠাঁই মিললো মর্গের সামনের জঙ্গলে।