গুণ আছে বলেই ফেরিওয়ালা হতে পেরেছেন গুণধর

 

স্টাফ রিপোর্টার: নাম গুণধর। ছোটবেলায় নামটা কে রেখেছিলো তা কে জানে? ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নিশ্চয় হাত-পা ছুড়ে বুঝিয়েছিলো তার মধ্যে গুণ আছে। বড় হলে গুণে ভরপুর হবে ভেবেই বোধহয় নামটা রাখা হয় গুণধর।

৫৫ বছর আগে মায়ের কোলজুড়ে আশা সেই গুণধর আইজাক নিউটন বা আইন স্টাইনের মতো গুণের অধিকারী না হলেও ভিক্ষুক নন। পরিশ্রম করেই তিনি ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে চলেছেন হরদম। পরিশ্রমের ধরণে গুণের ছোঁয়া? কিছুটা হলেও আছে তো বটেই। তা না হলে ঘাড়ে প্লাস্টিকের ফুল, ঘুড়ি নিয়ে কি ঘুরতে পারতেন এ শহর থেকে ওই শহরে? তিনি ফেরিওয়ালা। প্লাস্টিকের ফুল ঘুড়ি বিক্রেতা।

গুণধরের বাড়ি শান্তাহারে। বাবার নাম সুরেন সরকার। গুণধরের রয়েছে দু ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। মেয়ে বিয়ের পর স্বামীর সংসারে। ছোট ছেলে এখন উপার্জনের মতো হয়নি। জমি-জমা নেই। মেধা ধাকলেও লেখাপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডিটাই পার করতে পারেননি। তাই বলে অন্যের কাছে হাতপাতা? দিন মজুরি? না, একেবারেই স্বল্প পুঁজি নিয়ে ফুল ফেরিওয়ালা। সেদিন চুয়াডাঙ্গার পথে দেখা হলে তিনি বলেন, দূর-দূরান্তে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা বড্ড কষ্টের। তবে আয়টা মন্দ নয়। ভালোই চলে সংসার। গুণধরের দিকে তাকে অনেকের অব্যক্ত মন্তব্য- গুণ না থাকলে কি এটাও করতে পারতো গুণধর?