চুয়াডাঙ্গায় হাতে-কলমে ল্যাবরেটরি বিষয়ক বিজ্ঞান শিক্ষা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন

 

স্টাফ রিপর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠদানকারী শিক্ষকদের হাতে-কলমে ল্যাবরেটরি বিষয়ক বিজ্ঞান শিক্ষা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। গত শনিবার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় দফার ৫ দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়। প্রশিক্ষণে জেলার ১৭০ স্কুল ও মাদরাসার ৪১০ শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণটি সমন্বয় করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হেডমাস্টার ট্রেনার মুতাচ্ছিম বিল্লাহ স্থানীয় সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ল্যাবরেটরি বিষয়ক শ্রেণিকক্ষে বাস্তবধর্মী বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাদান বিষয়ক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। বিজ্ঞানভীতি দূরীকরণের জন্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণে হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষকদের প্রায় শতাধিক উপকরণের সাহায্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এর মধ্যে বিকার, লিটমাস কাগজ (লাল-নীল), পটাসিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট, মাপচোঙ, নাড়ানি, তারজালি, নিক্তি, লবণ, স্পিরিট ল্যাম্প, চামচ, ফানেল, ফিল্টার কাগজ, সুতা, চা চামচ, নিডল, আলপিন, মূল, কাণ্ড, মগ, বালতি, সয়াবিন তেল, ফিটকিরি, চিনি, আলু, আদা, পেঁয়াজ, হলুদ ও রসুনসহ শতাধিক উপকরণ রয়েছে।

প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষকদের ভাতা হিসেবে ৬ হাজার ৩০০ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে বেশ কিছু শিক্ষককে ৫ হাজার ৫০০ টাকা করে দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন নাস্তা ও খাবার দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ প্রশিক্ষণার্থীদের।

প্রশিক্ষণ তিনটি দফায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফায় ১ জুন থেকে ৫ জুন পর্যন্ত ১৬০ জন, দ্বিতীয় দফায় ৯ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ১৬০ জন এবং সর্বশেষ তৃতীয় দফায় ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ৯০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণে রিসোর্স পারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন- সহকারী পরিদর্শক সোহেল আহমেদ, আব্দুল বারী, হাসানুজ্জামান, খালেদা আক্তার, আমিনুল ইসলাম, মোতাহার হোসেন, মাসুদ রানা ও রাশিদুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসের স্থানীয় সমন্বয়কারী মুতাচ্ছিম বিল্লাহ জানান, রোজার মাস হিসেবে নাস্তা ও খাবার দেয়া বন্ধ রয়েছে। প্রশিনার্থীদের ভাতা বাবদ ৬ হাজার ৩০০ টাকা করে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।