জীবননগরে ইউপি নির্বাচন নিয়ে চলছে অভিযোগের পালা

 

জীবননগর ব্যুরো: গত ২৮ মে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ও সীমান্ত ইউনিয়নের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে ৮৮ ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র্মীজা হাকিবুর রহমানকে পরাজিত করে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। অপরদিকে সীমান্ত ইউনিয়নে ২২৪ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মালেক মোল্লাকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও এ দুটি ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা আসন হতে ৬ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড হতে ১৮ জন সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দু জন চেয়ারম্যান ও ৩ জন সদস্য প্রার্থী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর গণনা এবং ভোট পুনরায় গ্রহনের দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেছেন। এর ফলে দিন দিন পরাজিত প্রার্থীদের অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে শুরু করেছে।

আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে নির্বাচনে পরাজিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর্জা হাকিবুর রহমান লিটন হারদা ও কর্চ্চাডাঙ্গা কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার একই অভিযোগ এনেছেন সীমান্ত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের আব্দুল মালেক মোল্লা। অপরদিকে সীমান্ত ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী বিল্লাল হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মোছাদ্দেক আলীও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ এনেছেন। দাবি করেছেন ভোট পুনঃগণনার অথবা পুনর ভোটের। কর্চ্চাডাঙ্গা সরকারি প্রাথীমক বিদ্যালয়ে প্রিজাইডং অফিসারের দায়িত্ব পালনরত উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আফাজ উদ্দিন জানান, তার কেন্দ্রে কোন প্রকার কারচুরি কিংবা অনিয়মের কোন ঘটনা তিনি ঘটতে দেখেননি। পরের দিন পত্রিকায় তিনি একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর উত্থাপিত অভিযোগ দেখতে পান।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজ প্রশ্ন তুলে বলেন নির্বাচন কি নিরেপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়নি? তিনি বলেন, তার নিকট গতকাল সীমান্ত ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেক মোল্লা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর কেউ তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেননি। করলে বিষয়টি তিনি আইন সিদ্ধভাবে দেখবেন বলে জানান।