হিরোশিমার স্মৃতি ভুলবার নয়: ওবামা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুক্রবার হিরোশিমা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বলেছেন, ৬ আগস্টের স্মৃতি কখনোই ভুলবার নয়। তবে ইতিহাসের নির্মমতম এই হত্যাযজ্ঞের জন্য ক্ষমা চাওয়া থেকে বিরত থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পারমানবিক বোমা হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হিরোশিমায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। এর আগে ওবামা সেখানে পৌঁছালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে স্বাগত জানান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের কোন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের এটিই প্রথম হিরোশিমা সফর। সৃতিসৌধে ফুল দেয়ার পর পারমাণবিক বোমার আঘাতে বেঁচে যাওয়া দুই জনের সাথে কথা বলেন ওবামা। এসময় তিনি পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব বিনির্মাণের জন্য আহ্বান জানান। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোসিমায় পারমাণবিক বোমার আঘাতে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এর তিন দিন পর নাগাসাকিতে দ্বিতীয় পারমাণবিক বোমা হামলায় মারা যায় আরো ৭৪ হাজার মানুষ।
আল্লাহ ও ঈশ্বরের নামে শপথ নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আল্লাহ ও ঈশ্বরের নাম নিয়ে শপথগ্রহণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে তিনি এ শপথ গ্রহণ করেন। গভর্নর কেশরী নাথ ত্রিপাঠি তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। কোলকাতা রেড রোডে গতকাল মমতার পাশাপাশি শপথ গ্রহণ করেন মন্ত্রীসভার অন্য সদস্যরা। মমতা মন্ত্রীসভায় ৭ মুসলিম বিধায়ক শপথ নেন। গতবার ছয়জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্ত্রী থাকলেও এবার তা বেড়ে সাত জনে পৌঁছেছে। এরা হলেন- রাজ্য জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দ প্রধান মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, ফিরহাদ হাকিম, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, জাভেদ খান, গোলাম রব্বানি এবং জাকির হোসেন।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ মোট ৪৩ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ভিডিও টুইটারে : ব্রাজিলজুড়ে বিক্ষোভ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ব্রাজিলের সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এক তরুণীকে গণধর্ষণের ভিডিও। এ নিয়ে ফুঁসে উঠেছে দেশ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে পুলিশ খুঁজছে বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ঘটনার শিকার ওই তরুণী জানান, গত শনিবার তিনি নিজের বয়ফ্রেন্ডের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে প্রথমে মাদক সেবন করানো হয়। একপর্যায়ে সজাগ হয়ে তিনি নিজেকে নগ্ন ও বিধ্বস্ত অবস্থায় অন্য একটি বাসায় দেখতে পান। তার চারপাশে একদল পুরুষ। পরে তিনি নিজের বাসার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এ ঘটনায় ওই বয়ফ্রেন্ডসহ সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে ব্রাজিলের সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্রাজিলে নারী নির্যাতন নতুন কোনও ঘটনা নয়। ব্রাজিলিয়ান ফোরাম ফর পাবলিক সিকিউরিটি-এর হিসাবে, ২০১৪ সালের শুধু পুলিশের কাছে ৪৭ হাজার ৬৩৬টি ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। ধারণা করা হয়, পুলিশের কাছে করা অভিযোগ দেশটিতে সংঘটিত মোট ধর্ষণের মাত্র ৩৫ শতাংশ। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনার শিকার নারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন না।