চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কলেজছাত্রী ধর্ষণ ঘটনায় অভিযুক্তরা গাঢাকা দিয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতাল এলাকার বখাটে প্রতারক চক্র গাঢাকা দিয়েছে। হাসপাতালে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকে সঙ্গবদ্ধ চক্রটি ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদেরকে আর দেখা যাচ্ছে না হাসপাতাল এলাকায়। সম্ভাব্য গ্রেফতার এড়াতে তারা গাঢাকা দিয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছে।

অভিযোগকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পেছনের সিঁড়ি ও দোতলার পরিত্যক্ত কক্ষে দেখা যায় মাদকাসক্তদের আনাগোনা। এরই মধ্যে গত ১৭ মে সন্ধ্যার পর আলমডাঙ্গা পল্লির এক কলেজছাত্রী হাসপাতালে রোগী দেখতে এসে ধর্ষণের শিকার হন। প্রথমদিকে প্রতারকচক্রের হুমকিধামকিরমুখে ধর্ষণ ঘটনা চাপা থাকলেও গত মঙ্গলবার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির আসিফের নাম উল্লেখপূর্বক আরও অজ্ঞাত ৪জনকে আসামি করা হয়। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে আসিফকে রক্ষার জন্য কারা নাকি উঠে পড়ে লেগেছে। এ জন্য আসিফের পরিবারের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকাও লেনদেন হয়েছে। আর অজ্ঞাত আসামিদের তালিকায় থাকা অভিযুক্তরাও বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিচ্ছে যাতে আসামির নামের তালিকায় তাদের নাম না যায়।

তবে এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক জানান, কলেজছাত্রী ধর্ষণের বিষয় চুয়াডাঙ্গা সদর থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য আদালত আদেশ দিয়েছেন এটা আমি শুনেছি। আমার কাছে আদেশের অনুলিপি এখনও আসেনি। এলে আমি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। দীর্ঘদিন ধরে একটা বখাটে প্রতারক চক্র হাসপাতাল এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। যারা এ অপরাধ করে তাদের কেউ কেউ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতালে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকে আর এই সুযোগে হাসাপাতাল বা ওই এলাকায় অপরাধ করার সুযোগ পায়। অবাক হলেও সত্য এ চক্রটি হাসপাতালের ভেতরে বিড়ি, সিগারেট, গাঁজা, মদ থেকে শুরু করে এমন কোনো নেশা নেই যা করে না।