চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কোলজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ আদালতে মামলা

 

বেলগাছির আসিফসহ আসামি-৪ : স্বাস্থ্যবিভাগীয় তদন্ত শুরু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মানবাধিকার সংগঠন চুয়াডাঙ্গার মানবতা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট খন্দকার অহিদুল আলম ওরফে মানি খন্দকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ শিরিন কবিতা আখতার মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আগামী ২ জুন  বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। মামলায় চুয়াডাঙ্গা  পৌর এলাকার বেলগাছি এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে আসিফসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আবদুল মালেক, কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, মসলেম উদ্দীন-২, রফিকুল ইসলাম-১, জিল্লুর রহমান জালাল, মঈনুদ্দীন মঈনুল, আবদুল মুকিম, রুবিনা পারভীন, মমতাজ বেগম, মেহেদী হাসান নয়ন প্রমুখ।

মামলার অভিযোগ বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়কে দেখতে ভিকটিম কলেজছাত্রী (২২) গত ১৭ মে সন্ধ্যায় সেখানে যান।  এক পর্যায়ে অজ্ঞাত ৩/৪ জন সন্ত্রাসী প্রাণনাশের হুমকি দেখিয়ে ভিকটিম ও তার বন্ধু মিঠুনকে দোতলার একটি পরিত্যক্ষ কক্ষে নিয়ে যায় । এরপর সেখানে আসিফ নামে একজন ওই নারীকে তার বন্ধুর সামনেই ধর্ষণ করে। ঘটনাটি দেরিতে জানাজানি হলে ভিকটিম ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে মানবতা ফাউন্ডেশন। ভিকটিম ও পরিবারের সদস্যরা আসামিদের ভয়ে মামলা করতে অনীহা প্রকাশ করলে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অবস্থিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের ইনচার্জ ইল্লিন সুলতানা জানান, ভিকটিমকে আইনি সহায়তা দিতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে। তিনি আরও জানান,, সংবাদে তার অফিসের নাম ব্যবহার হলেও দ্বিতীয়তলা থেকে অফিসটি ২০১৩ সালে হাসপাতালের নিচতলায় চলে আসে এবং অফিসের কার্যক্রম সেখানেই চলছে।

সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. মাসুদ রানা জানান, ঘটনার দিন হাসপাতালের এমএলএসএস সেলিমের কাছে পরিত্যক্ত ওই কক্ষের চাবি ছিলো। তার কাছ থেকে স্বেচ্ছাসেবক আসিফ চাবিটি নিয়ে কক্ষটি ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

চুয়াডাঙ্গার নবাগত সিভিল সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনা তদন্তে সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়নকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

 

 

Leave a comment