আলমডাঙ্গা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে সম্মানি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: নিয়ম বহির্ভূতভাবে একই দিন ও একই সময়ে পৃথক ৩টি স্থানে অনুষ্ঠিত পৃথক বিষয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণের ট্রেইনার হিসেবে সম্মানি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরে অবস্থিত সদর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে  ইসিএল ‘শিখবে প্রতিটি শিশু’ শীর্ষক ৮ দিনব্যাপী  ট্রেইনিং গত ২৫ মে থেকে শুরু হয়েছে। এ প্রশিক্ষণটি একটানা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। আলমডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত রিসোর্স সেন্টারে একই দিন থেকে ২৯ মে পর্যন্ত মোট ৫ দিনব্যাপী শুরু হয়েছে ‘একীভূত শিক্ষা’ শীর্ষক শিক্ষক প্রশিক্ষণ। এছাড়া গতকাল ২৬ মে শুধু একদিনের সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শহর থেকে কিছুটা দূরে কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সিডিউল অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি চলছে প্রশিক্ষণ। একই দিনে একই সময়ে ৩টি প্রশিক্ষণ শুরু ও শেষ হচ্ছে। ফলে কোন প্রশিক্ষনার্থি শিক্ষকের যেমন একই সাথে একাধিক প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণের সুযোগ নেই, তেমনই একজন ট্রেইনারেরও একই দিনে একাধিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষকের বা ট্রেইনারের দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। এমনকি নিয়ম বহির্ভূতও।

অথচ আলমডাঙ্গা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমানের সামর্থ আর ৫ জন সাধারণ মানুষের চে’ অনেক বেশি। তিনি সমস্ত আইন, সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা ও নীতি-নৈতিকতা তোয়াক্কা না করে ৩টি পৃথক প্রশিক্ষণ থেকেই সম্মানি গ্রহণ করছেন। ৩টি প্রশিক্ষণের তিনি একই সাথে ট্রেইনার। সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা মোতাবেক তিনি শুধু একটি প্রশিক্ষণের ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। অথচ শিক্ষকের ওপর ছড়ি ঘোরানো এ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাকে মুলো দেখিয়ে প্রতিদিন অবলীলায় অবৈধভাবে তুলে নিচ্ছেন পৃথক ৩টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা।

খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর রিসোর্স সেন্টার থেকে একদিনের জন্যও আলমডাঙ্গা রিসোর্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে যাননি।  তারপরও পৃথক ৩টি স্থানে অনুষ্ঠিত পৃথক ৩টি ট্রেইনিঙের টাকায় তিনি জায়েজ করে চলেছেন।