মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী হাসানুজ্জামান মিলন (৩৫) হত্যার বিচার ও খুনি আব্দুর রশিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিহত মিলনের আত্মীয়স্বজন ও শ্যামপুর গ্রামের শ শ নারী-পুরুষ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন নিহত মিলনের পিতা শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ মল্লিক। মানববন্ধনে নিহতের শিশুপুত্র মৃদুল (৭) কান্নাজড়িত কন্ঠে জানায়- যারা তার পিতাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। তাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আধাঘণ্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিহতের পিতা আব্দুল হামিদ মল্লিক, বোন নাজমিন আক্তার, ভগ্নিপতি শাহীন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, চামেলি খাতুন, নিহতের স্বজন তরিকুল মণ্ডল, আব্বাস আলী, আজিজুল হক, কাজল হোসেন, শাহিদা খাতুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মল্লিকের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মিলন হোসেন প্রায় ৪ মাস আগে থেকে বাড়ি ফেরেন এবং গাংনী উপজেলা শহরের বন বিভাগ পাড়ায় একটি বাড়ি নির্মান করতে থাকেন। নির্মাণাধীন বাড়িতে তিনি স্ত্রী ও একমাত্র পুত্রকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যার আগে শ্যামপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলযোগে গাংনীর উদ্দেশে রওনা দেন মিলন। সারারাত তার কোনো খোঁজ মেলেনি। পরের দিন সকালে গাংনীর ঝিনেরপুল সিমেনাহল পাড়াস্থ জনৈক জিল্লুর দারোগার নির্মানাধীন বিল্ডিংএর পিছনের বাগানের একটি গর্তের মধ্য থেকে তার লাশের সন্ধান পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুল হামিদ মল্লিকের দায়ের করা মামলায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী মানসুরা খাতুন (৩২) ও গাংনীর মাদরাসাপাড়ার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪৫) ও তার স্ত্রী মহুনুয়ারাকে (৩৬) গ্রেফতার করে।