গাংনীর ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচন সম্পন্ন

গাংনী প্রতিনিধি: দু’পক্ষের মাঝে টান টান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া (কুঠি) মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের (ম্যানেজিং কমিটি) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে বতর্মান সভাপতির গ্রুপকে পরাজিত করে অভিভাবক সদস্যর চারটি পদে নিরুঙ্কুস বিজয় অর্জন করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের প্রার্থীরা।

নির্বাচনে আবুল বাসার গ্রুপের মোস্তফা কামাল ১৭৯ ভোট, লিয়াকত আলী ১৭৮ ভোট, সিদ্দিকুর রহমান ১৭৩ ভোট এবং দুলাল উদ্দীন ১৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের ইয়ারুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফ পেয়েছেন সাতটি করে ভোট এবং কামরুজ্জামান পল্টু ১৪৭ ভোট, দুলাল হোসেন ১৫০ ভোট ও হাফিজুর রহমান ১০ ভোট পেয়েছেন। বিজয়ী গ্রুপের অপর প্রার্থী মফিজুল ইসলাম ১৪১ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনে ঘোষিত প্যানেলের সুযোগ না থাকলেও কার্যত প্যানেল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বতা হয়। দুটি গ্রুপ থেকে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ৪১২ জন অভিভাবক ভোটারের মধ্যে ৩৩৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গণনা শেষে বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার।

এদিকে পরিচালনা পর্যদ গঠনের লক্ষ্যে তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধিও চূড়ান্ত হয়েছে। এরা হচ্ছেন- সহকারী শিক্ষক মোকলেছুর রহমান, আতিয়ার রহমান ও শাহনাজ পারভীন। নীতিমালা অনুযায়ী এ সকল ভোটাররা একজন সভাপতি নির্বাচিত করবেন। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে পেরে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মীর হাবিবুল বাসার ও প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান।

কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বর্তমান সভাপতি জিয়ারুল ইসলাম মুকুল ও তার ভাই ইয়ারুল ইসলাম গ্রুপের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল বাসার গ্রুপের লোকজনের মধ্যে তীব্র টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এর পেছনে ছিলো সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের বিরোধ। কয়েক দিন আগে নওপাড়া বাজারে উভয় গ্রুপের লোকজন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়। কিন্তু পুলিশের তাৎক্ষণিঁক ভূমিকায় তা ভেস্তে যায়। অপরদিকে গত দুই বছর ধরে বর্তমান কমিটির সাথে প্রধান শিক্ষকের সম্পর্কের টানপড়েন চলছিলো। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকেই প্রশ্ন উঠছিলো। শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে পরিচালনা পর্যদ গঠন হচ্ছে তাই এসব বিরোধ চাপা পড়ে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসার আশা করছেন এলাকাবাসী ও ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ।