মাঠে ঘাস কাটতে না যাওয়ায় মেহেরপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম

গাংনী প্রতিনিধি: মাঠে ঘাস কাটতে না যাওয়ার অপরাধে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছেন পাষণ্ড স্বামী খলিলুর রহমান খলিল। গুরুতর আহত অবস্থায় আহত স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে (২২) মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা সদরের দিঘিরপাড়া গ্রামে।

স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা গেছে, দিঘিরপাড়া গ্রামের ছাগল ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান তার স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে প্রায়ই শারীকিভাবে নির্যাতন করতেন। এর পেছনে ছিলো যৌতুক ও দাম্পত্য নানান কলহ। শুক্রবার বিকেলে সে স্ত্রীকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যেতে বলেন। কিন্তু স্ত্রী নির্দেশ পালন করার অজুহাতে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। এক পর্যায়ে ধারালো হেঁসো দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। খাদিজার চিৎকারে প্রবিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গাংনী উপজেলার আযান গ্রামের খাদিজা খাতুনের সাথে দিঘিরপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের বিয়ে বছর সাতেক আগে। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে তাকে প্রায়ই শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো স্বামী খলিল। গত ছয় মাসে কয়েক দফা মারপিটের কারণে দুই মাস পিতার বাড়িতে ছিলেন খাদিজা। আর কখনো মারধর করা হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে দশ দিন আগে খাদিজাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে খলিল। কিন্তু বাড়িতে ফেরার পর থেকেই চলছিলো নির্যাতন।

খাদিজার পিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খলিলকে বারবার মাফ করে তারা ভুল করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে খাদিজার প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। আজ তারা আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিযুক্ত খলিলের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেছেন তারা।