সেভিয়ার হ্যাটট্রিক ইউরোপা জয়

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে টানা তৃতীয়বার ইউরোপা লিগ জয়ের রেকর্ড গড়েছে সেভিয়া। স্পেনের দলটি ম্যাচের প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে আগামী মরসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের টিকেট পেয়ে গেছে।

এবারের লা লিগায় সপ্তম হওয়া দলটি এ নিয়ে মোট পাঁচবার ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো। ২০০৫-০৬ ও ২০০৬-০৭ মরসুমে প্রথম দুটি শিরোপা জিতেছিলো সেভিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি করে শিরোপা জিতেছে ইউভেন্তুস, ইন্টার মিলান ও লিভারপুল। সুইজারল্যান্ডের বাসেলে বুধবার রাতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। বল পায়ে বাঁ-দিক থেকে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন ড্যানিয়েল স্টারিজ।

২০০১ সালের পর প্রথম ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে এ প্রতিযোগিতার ফাইনালে গোল করলেন স্টারিজ। ১৫ বছর আগে তখনকার উয়েফা কাপ নামে পরিচিত একই টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাব আলাভেজকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে এর তৃতীয় ও শেষ শিরোপাটি জিতেছিলো লিভারপুল। ওই ম্যাচে দলের চতুর্থ গোলটি করেন ইংল্যান্ডের রবি ফাওলার। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া সেভিয়া দুর্দান্তভাবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আসে। ১৭ সেকেন্ডের মাথায় ছয় গজ বক্সের মধ্যে থেকে সহজেই দলকে সমতায় ফেরান ফরাসি স্ট্রাইকার কেভিন গামেইরো ৬৩তম মিনিটে দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় গত দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। গোলটির স্থপতি স্পেনের মিডফিল্ডার ভিতোলো; দু সতীর্থের সাথে একবার করে বল দেয়া নেয়া করে ডি-বক্সের কাছে পৌঁছে যান তিনি আর ছুটে এসে চোখের পলকে জোরালো এক শটে বল জালে জড়ান ডিফেন্ডার কোকে।

এর ছয় মিনিট পর কোকের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ায় সেভিয়া। গোলটি নিয়ে অবশ্য কিছুটা বিতর্কও তৈরি হয়। ছয় গজ বক্সের বাইরে বল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় অফসাইডে ছিলেন স্পেনের এ ডিফেন্ডার, লাইন্সম্যানও অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন, কিন্তু অ্যাডাম লালানার পায়ে বল লেগে আসায় গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।