বেগুয়ারখালী দু গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: জমিজমা সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জের ধরে আলমডাঙ্গার বেগুয়ারখালী ২ গ্রুপের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহারভুক্ত ৩ জনকে  হারদী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদেরকে আটক করা হয়।। হারদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদেরকে পুলিশ আটক করেছে। আটককৃত আহত ৩ আসামিকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। শুকুর ডাক্তার-কচিম মণ্ডল গ্রুপের আহত ২ জনের অবস্থার অবনতি হলে গতকাল তাদেরকে ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। উত্তেজনাপূর্ণ বেগুয়ারখালীতে গতকালও পুলিশ অবস্থান করছিলো।

জানা গেছে, গত ১৮ মে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জের ধরে আলমডাঙ্গার বেগুয়ারখালী গ্রামের শুকুর ডাক্তার-কচিম মণ্ডল গ্রুপ ও হায়েত ডাকাত-বজলু ডাকাত গ্রুপের মাঝে সংঘটিত সংঘর্ষে ১১ জন আহত হওয়ার ঘটনায় একপক্ষই থানায় দুটি এজাহার দায়ের করে। ঘটনার রাতে হায়েত-বজলু গ্রুপ ওই দুটি পৃথক এজাহার দায়ের করেছে। দায়েরকৃত এজাহারে ভাঙচুর, লুটপাট ও কুপিয়ে জখমের অভিযোগে তুলে প্রতিপক্ষের ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। হায়েত-বজলু গ্রুপের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে লাল্টু ও একই গ্রুপের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ওই পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করেন। এদের মধ্যে ৩ জনকে গতকাল সকালে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন শুকুর ডাক্তার-কচিম মণ্ডল গ্রুপের মৃত মতলেব মণ্ডলের ছেলে কচিম মণ্ডল, আনারুল ফকিরের ছেলে খোকন ও মৃত নবীছদ্দীনের ছেলে মজিজুল। এরা সকলেই প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় জখম হয়ে হারদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কচিম মণ্ডল ও মজিজুল হক প্রতিপক্ষের ফালার আঘাতে জখম হয়েছেন। অন্যদিকে আহত শুকুর ডাক্তার-কচিম গ্রুপ এখনও থানায় কোনো এজাহার করতে পারেনি বলে জানা গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গতকাল রাত অবধি বেগুয়ারখালীতে অবস্থান করে বিবদমান দু পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালান। এখনও তিনি সমঝোতার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।

Leave a comment