এবার ধামরাইয়ে শিক্ষিকা লাঞ্ছিত : আটক আওয়ামী লীগ নেতা

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার ধামরাইয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকাকে বাথরুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারপিট করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল মালেক। এ ঘটনায় শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে সর্বসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ধামরাইয়ের ১১ নং পশ্চিম সূত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা ফৌজিয়া ইয়াসমিন গত শনিবার স্কুলের অফিস কক্ষ পরিবর্তন করে অন্য একটি রুমকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করেন। এ নিয়ে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা কানিস নাসিমা ও সহকারী শিক্ষক আক্তার হোসেনের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষিকার ওপর প্রতিশোধ নিতে গত বুধবার বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ফজলুল হক ও সহ-সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মালেককে স্কুলে ডেকে আনেন। এরপর মালেক প্রধান শিক্ষিকাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। প্রতিবাদ করলে উত্তেজিত হয়ে তিনি তাকে মারতে যান। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে প্রধান শিক্ষিকা দৌড়ে বিদ্যালয়ের বাথরুমে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখান থেকে দুই সহকারী শিক্ষিকার সহযোগিতায় তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে বেদম মারপিট করেন আবদুল মালেক। এতে শিক্ষিকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় ফৌজিয়া ইয়াসমিন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রথমে ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে গতকাল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিকালে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশ তার বাড়ি সূত্রাপুর থেকে আটক করেছে। প্রধান শিক্ষিকা ফৌজিয়া ইয়াসমিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতিকে উত্তেজিত দেখেই আমি বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকেই আমাকে টেনে এনে মারধর করল। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি তার বিচার চাই।’ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে। দ্রুতই শিক্ষিকাকে মারধরকারী বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধামরাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, শিক্ষিকা লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং লাঞ্ছিতকারীকে আটক করা হয়েছে।