নক আউট নিশ্চিত করলো সানরাইজার্স

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলের প্লে-অফে জায়গা করে নিলো মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলের জয়ের দিনে ৪ ওভার বল করে ৩২ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১২ ম্যাচে অষ্টম জয়ে মুস্তাফিজের দল ধরে রাখলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান। আগের দু ম্যাচ উইকেট শূন্য থাকার পর এদিন প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেটি তার ৫০তম শিকার।

প্রথম ২ ওভারে মুস্তাফিজ দিয়েছিলেন ১০ রান। তবে শেষ ২ ওভারে তাকে দারুণ দক্ষতায় খেলেছেন আমলা। শেষ পর্যন্ত তাই বোলিং ফিগার খুব উল্লেখযোগ্য নয়, ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ওই ১ উইকেট। এবারই প্রথম আইপিএলে খেলছেন আমলা। চোটে ছিটকে যাওয়া শন মার্শের জায়গায় পাঞ্জাবে এসেছেন সপ্তাহ খানেক আগে। প্রথম দু ম্যাচে করেছিলেন ২১ ও ০। এবার তুললেন ঝড়।

আমলার সৌজন্যেই উদ্বোধনী জুটিতে ৪ ওভারে ৩৩ রান তুলেছিল পাঞ্জাব। বল হাতে নিয়ে দ্বিতীয় বলেই সেই জুটি ভেঙেছেন মুস্তাফিজ। স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে মিড অফে ধরা পড়েন মুরালি বিজয়। আমলা অবশ্য চালিয়ে গেছেন। চেনা ব্যাটিংয়ে দৃষ্টিনন্দন সব শটের পাশাপাশি খেলেছেন স্কুপ, প্যাডেলও। মুস্তাফিজকে আক্রমণ করেছেন সেসব শটেই। এক ওভারেই চার মেরেছেন দুটি প্যাডল স্কুপে, দুটির মাঝে পুল শটে আরেকটি চার। মু্স্তাফিজের ৯ বলে নিয়েছেন ১৬ রান।

টি-টোয়েন্টিতে আগে একবার ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আমলা। কাছে গিয়ে সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি এবারও। শেষ ওভারে ভূবনেশ্বরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৯৬ রানে। ৫৬ বলের ইনিংসে ১৪টি চার, দুটি ছক্কা। ডেভিড মিলারের (৯ বলে ২০*) শেষ বলের ছক্কায় পাঞ্জাব থামে ১৭৯ রানে। রান তাড়ায় হায়দরাবাদ এগিয়েছে অনায়াসেই। ফর্মে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার (৪১ বলে ৫২) ও শিখর ধাওয়ান (২৫) দলকে এনে দেন ভালো শুরু। প্রমোশন পেয়ে তিনে নেমে ২২ বলে ৩৪ গুরকিরাত সিং। শেষ দিকে রান-বলের টানাপোড়েন মিটিয়েছেন যুবরাজ সিং ও বেন কাটিং। ৩ ছক্কায় ২৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত যুবরাজ। মরসুমে প্রথম সুযোগ পাওয়া অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার কাটিং ২ ছক্কায় ১১ বলে অপরাজিত ১৮। দারুণ ইনিংসটির জন্য ম্যাচ সেরা আমলা, তবে জয়ের হাসি মুস্তাফিজদেরই।