গাংনীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা : দেহভোগের অভিযোগ

 

গাংনী প্রতিনিধি: বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা কাকলী খাতুন প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিলেও তাতে সাড়া দেননি প্রেমিক আরিফুল। বিয়ের প্রলোভনে দেহভোগ করে আরিফুল ছিটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ কাকলীর। গতকাল বুধবার বিকেলে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয় একই উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের কাকলী খাতুন। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও প্রেমিকের বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ার বিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনাটি এলাকার মানুষের মুখরোচক গল্পের খোরাক জোগাচ্ছে।

মহব্বতুপুর গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে কাকলী খাতুনের (১৫) সাথে বেশ কিছুদিন ধরে চেংগাড়া গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে অভিযুক্ত আরিফুল ইসলামের (১৭) প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বিয়ের প্রলোভনে কাকলীর দেহভোগ করে আরিফুল। কাকলী খাতুন এ বিষয়টি প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানকালে উৎসুক মানুষকে জানায়। কিন্তু বিয়ে না করে গত কয়েকদিন ধরে কাকলী থেকে দুরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো আরিফুল। যোগাযোগও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। নিরুপায় কিশোরী বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে আরিফুলের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। কিন্তু কৌশলে গাঢাকা দেয় আরিফুল। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ উজ জামান ও সহকারী কশিনার (ভূমি) রাহাত মান্নান। কাকলীর সাথে কথা বলে বিয়ের দাবির বিষয়টি পরিস্কার হলেও বাধ সাধে তার বয়স। বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় আইনের কাছে বাধা পড়েন ইউএনও। শেষ পর্যন্ত তিনি কাকলীকে স্থানীয় ইউপি সদস্য চামেলীর হেফাজতে দেন।

তবে বিয়ে না হলেও হাল ছাড়ছেন না কাকলী। আরিফুল তার পরিবার বিষয়টির সুষ্ট সমাধান না করলে আদালতে তিনি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সন্তোষজনক সমাধান না হলে কাকলী মামলার পথে হাটবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে কাকলীর অনশনের ঘটনায় এলাকায় আরিফুল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতোপুর্বে আরিফুল তার ভাই আশরাফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন গ্রামবাসী। প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েদের সর্বস্ব লুটে নেয়ার কাজে তারা বেশ পটু বলেই মতামত প্রকাশ করেন অনেকে। তাই আরিফুল ও তার ভাই আশরাফুলের দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হলে এ ধরণের ঘটনা বাড়তে থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন গ্রামবাসী।

Leave a comment