বিদেশি টুকরো খবর

গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ায় ৭ শিশুর কারাদণ্ড

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইন্দোনেশিয়ায় ১৪ বছর বয়সী একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে সাত জন শিশুকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপরাধীদের সবার বয়স ১৮ বছরের কম। এই অপরাধে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও অপরাধীদের বয়স বিবেচনায় নিয়ে দণ্ড কম দেয়া হয়েছে বলে জানান আদালত। এই ঘটনা দেশটিতে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন তৈরি করে। যৌন নির্যাতন নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিলো তখন। গত ২ এপ্রিল ইউন নামের মেয়েটি স্কুল থেকে ফেরার সময় নিখোঁজ হয়। দুই দিন পর তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসী।

 

পাকিস্তানে ১২শ কেজি গমে মুক্তি মিললো ধর্ষক ভাইদের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানে ১২শ কেজি গমে মুক্তি পেলো ১৪ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণ করা দুই ভাই। দেশটির সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় শেষ পর্যন্ত বিষয়টির নিষ্পত্তি হয় এভাবে। মোস্তাক মাঙরিও ও সুলেয়মান মাঙরিও নামের প্রভাবশালী দুই ভাই তাদের জমিতে কর্মরত এক কৃষকের ১৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে একজন ভাইকে গ্রেফতার করা হলেও অন্য ভাইকে গ্রেফতার করা হয়নি। জানা যায়, দুই ভাই স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি মালিক। তাদের জমিতে ধর্ষিত মেয়ের পরিবারের ১৪ জন সদস্য কাজ করে। ফলে ভয়ে তারা বিষয়টি নিয়ে কিছু করার সাহস পাচ্ছে না। এদিকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকা এই পরিবারের সাথে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২শ কেজি গমের বিনিময়ে ঘটনাটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আটক হওয়া ভাইও ছাড়া পেয়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি মিডিয়ার সামনে আসলে সিন্ধু প্রদেশের স্থানীয় সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নামক মানবাধিকার সংগঠন। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, এবার বিষয়টি সকলের নজরে আসলেও এমন ঘটনা এর আগেও বেশ কয়েকবার ঘটেছে। কিন্তু নিশ্চুপভাবে তা সহ্য করে গেছে অসহায় ভূমিহীন কৃষকেরা।

 

পাঁচ নবজাতকসহ মায়ের ছবি : ফেসবুকে ব্যাপক সাড়া

মাথাভাঙ্গা মনিটর: গত জানুয়ারি মাসে এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেয়া এক অস্ট্রেলীয় মা তার নবজাতকদের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এই ছবিগুলো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পার্থের বাসিন্দা কিম টুসি নামে ২৬ বছর বয়সী ওই নারী মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে চার মেয়ে এবং এক ছেলের জন্ম দিয়েছিলেন। এদেরকে স্বাভাবিকভাবে গর্ভে ধারণ করা হয়েছিলো। ৫০ জন ডাক্তার এবং নার্সের একটি দলের সহায়তায় প্রতিটি শিশু সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করে। স্বাভাবিকভাবে এক সাথে পাঁচ শিশুর জন্ম দেয়ার সম্ভাবনা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটির মধ্যে একবার। টুসির পাঁচ শিশুর জন্মদানের বিস্ময়কর ঘটনাটি তার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইরিন এলিজাবেথ ফটোগ্রাফি ওই পাঁচ শিশুর ছবি তোলার আয়োজন করে। এই প্রতিষ্ঠানটি টুসির গর্ভাবস্থার ছবি তুলেছিলো। ছবিগুলো ফেসবুকে পোস্ট করার সময় টুসি লেখেন, হাতের ৫০টি আঙুল, ৫০টি পায়ের আঙুল, ছয়টি হৃদপিণ্ড একসাথে স্পন্দিত হচ্ছে। শিশুগুলোকে এখানে নিরাপদে রাখতে আমার শরীর কঠিনতম লড়াই লড়েছিলো। আমি যা করেছিলাম, সবকিছু তাদের জন্যই করা। টুসি এবং তার স্বামী ভনের ইতোমধ্যেই নয় বছর বয়সী একটি ছেলে এবং দুই ও চার বছর বয়সী দুটি মেয়ে আছে। তাদের পুরো পরিবারের জন্য যথেষ্ট বড় এরকম একটি গাড়ি কিনতে তারা এখন টাকা তোলার উদ্যোগ নিচ্ছেন।

 

৭২ বছর বয়সে মা!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আইভিএফ-এর সাহায্যে ৭২ বছর বয়সে মা হলেন ভারতের দলজিন্দর কৌর। গত ১৯ এপ্রিল আরমান সিংহ নামের এই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। মা হওয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টাই করেছিলেন দলজিন্দর। কিন্তু অবশেষে আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্যে নিজের স্বপ্ন সফল করতে পারলেন তিনি। এই পদ্ধতিতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু জঠরের বাইরে একটি টেস্ট টিউব-এর মধ্যে সংরক্ষণ করে প্রতিপালন করা হয়। দলজিন্দরের স্বামীর বয়স এখন ৭৯ বছর। এই বয়সেও মহিন্দর সিংহ গিল স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণের জন্যে পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে হরিয়ানার হিসার-এ ঘুরে বেড়িয়েছেন। এর আগে দুবার আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান ধারণের চেষ্টা করেছিলেন দলজিন্দর, কিন্তু অবশেষে গত বছর জুলাইয়ে তিনি গর্ভবতী হন। হিসারের যে ক্লিনিক দলজিন্দরের সন্তানধারণে সাহায্য করেছে, সেখানে এর আগেও এক ৬৬ বছর বয়সী মহিলা একসাথে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ২০০৮ সালে। তবে ক্লিনিকের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এতো বয়সে সন্তানধারণ করতে গেলে শারীরিকভাবে অনেক ফিট থাকতে হয়, না হলে বাচ্চাধারণের সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।