বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়-ব্যায়ে ১২ হাজার কোটি টাকার গরমিল

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ ব্যাংকের। এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়, অফিস ফার্নিচার ক্রয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা, অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন, রক্ষণা-বেক্ষণ এবং ইউটিলিটি বিলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ১২ হাজার কোটি গরমিল পাওয়া গেছে। বিগত ৫ বছরে এ পরিমাণ অর্থের গরমিল পেয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি। একই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে যথাযথ তদারকি করছে না বলে মনে করছে সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি। এর আগে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে ৮২০ কোটি টাকা লুট করে নেয় একটি চক্র। এরপরেই বেরিয়ে আসে এবারই প্রথম রিজার্ভ রক্ষণা-বেক্ষণে লস হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে ১২ হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

কমিটির সদস্য আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি আর্থিক বিধি অনুসরণ না করায় অডিট আপত্তিতে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার হিসাবে গরমিল ধরা পড়েছে। কমিটি যতো দ্রুত সম্ভব অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করতে বলেছে। খুব শিগগিরই মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক আর আপত্তির সাথে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো জানান, পরের বৈঠকেস এ বিষয়ের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, কমিটির বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গত পাঁচ বছরের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ১ হাজার ২৯৪টি অডিট আপত্তির বিপরীতে অর্থের পরিমাণ হচ্ছে ১১ হাজার ৯১৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।  আরো বলা হয়, এই অডিট আপত্তির অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত হিসাব বিবরণীতে থাকে না।

কমিটির সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, হাবিবর রহমান, মো. আব্দুল ওদুদ, আব্দুর রউফ এবং নাভানা আক্তার। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।