স্টাফ রিপোর্টার: দশ বছর বয়সী ছেলের দুই পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝোলান। পা ছিলো ওপরে। মাথা নিচে। এরপর লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটুনি। শিশুটির চিৎকার সহ্য করতে না পেরে পুলিশকে খবর দেয় ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা। এরপর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়। গ্রেফতার করে বাবাকে।
শিশুটির নাম মো. রাকিব। বাবা আবদুল হাকিম (৫৫)। গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগ থানার ওহাব কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার হাকিমকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মহানগর হাকিম খোরশেদ আলম তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এছাড়া নির্যাতিত শিশু আদালতের কাছে নির্যাতনের ঘটনার পুরো বিবরণ দিয়েছে।
হাকিম পেশায় রিকশাচালক। ওহাব কলোনি এলাকার মো. শহীদুল ইসলামের ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। রাকিবকে নির্যাতনের ঘটনায় শিশুটির বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন শহীদুল ইসলাম।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘তখন রাত বাজে ২টা। রাকিবের কান্নাকাটি-চিৎকার শুনতে পেয়ে সেখানে যাই। দেখি রাকিবের পা ওপরে জানালার গ্রিলের সাথে দড়ি দিয়ে বাঁধা। মাথা ছিলো নিচে। এ অবস্থায় রাকিবকে বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন হাকিম। এ সময় রাকিবের মা উপস্থিত থাকলেও ভয়ে বাধা দিতে পারেননি। পরে বাধ্য হয়ে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। শহীদুল বলেন, রাকিব মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে পালাতো। এ নিয়ে তার বাবার মনে ক্ষোভ ছিলো।
জানতে চাইলে সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদ্দুস ফকির বলেন, শিশুটির বাবা হাকিম রাকিবকে ঝুলিয়ে নির্যাতন করেন। পরে হাকিমকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে অবশ্যই আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে। শিশুটি আদালতের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে, রোববার রাতে তার বাবা তাকে নির্যাতন করেন।
আদালত পুলিশ জানিয়েছে, শিশু রাকিবকে আদালত তার ভগ্নিপতি বিল্লাল হোসেনের জিম্মায় দিয়েছেন। আদালতে লুঙ্গি পরে এসেছিলো রাকিব। বেশ চুপচাপ ছিলো। কারও সাথে সে কথা বলেনি।