আলমডাঙ্গার ডাউকী গ্রামে বিশ্ব মা দিবসে মাকে অকথ্য নির্যাতন

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বিশ্ব মা দিবসে ঘরের দরজা আটকে মাকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে জখম করেছে আলমডাঙ্গার ডাউকী গ্রামের আমিরুল ইসলাম নামের আবুধাবি প্রবাসী। স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমিরুল নামের ওই ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটান।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকী গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের একমাত্র ছেলে ২ সন্তানের জনক আমিরুল ইসলাম দীর্ঘ ৭ বছর আবুধাবিতে ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি বাড়ে ফেরেন। গত ৮ মে সাংসারিক খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আমিরুল ইসলামের স্ত্রীর সাথে তার মার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমিরুল তার মাকে টেনে হেঁচড়ে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। রুমের দরজা আটকে হামলে পড়ে মার ওপর। উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে মাকে মারাত্মক আহত করে। হতভাগী মা মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে আমিরুল মারধর বন্ধ করেন। অসহায় মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে। প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলাম নামের এক পুলিশের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। গ্রামের চিকিৎসক সানোয়ার হোসেন তাকে চিকিৎসা করেন। আঘাত এতোটাই বেশী ছিলো যে, তাৎক্ষণিকভাবে স্যালাইন দিয়ে কিছুটা সুস্থ্য করে নিয়ে ডাক্তারকে অন্যান্য অসুবিধার চিকিৎসা করতে হয়। ডাক্তার সানোয়ার হোসেন জানান, মারধর বেশিই হয়েছে। বিশেষ করে বুকের আঘাত। গ্রামবাসীরা জানান- গতকাল সন্ধ্যায় অসহায় মাকে বাড়ি তুলে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, এ সংবাদ পেয়ে সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামের বহু মানুষ সেখানে জড়ো হয়। আমিরুল ইসলাম প্রথমে মাকে মারধর করার ঘটনা বেমালুম অস্বীকার করে বসেন। পরে তোপের মুখে মাকে ধাক্কা দেয়ার কথা স্বীকার করেন। সামান্য ধাক্কা দিলে কেন তার মাকে স্যালাইন দিতে হয়েছিলো? এমন প্রশ্ন করলে উত্তরে তিনি বলেন, ঘটনার পর তিনি বাড়ি থেকে চলে যান। সে কারণে কী চিকিৎসা করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তার অসুস্থ মার সাথে দেখা করতে চাইলেও বাড়ির কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আমিরুলের স্ত্রী তার মাকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দিয়েছে।

বিশ্ব মা দিবসে যখন সকলে মাকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ব্যস্ত, ঠিক সে সময়ে আমিরুল কর্তৃক মাকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রামের মানুষ ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেকেই মুখের ওপর আমিরুলকে ধিক্কার জানাচ্ছিলো।